রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

ওয়াগনার বিদ্রোহ নিয়ে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বারেক কায়সার, মস্কো (রাশিয়া) থেকে : রাশিয়ায় ওয়াগনার বাহিনীর সেনাদের বিদ্রোহ নিয়ে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি। মূলধারার গণমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া- সবখানেই চলছে গুজবের প্রতিযোগিতা। পশ্চিমা গণমাধ্যম যেনো প্রপাগান্ডার মেশিন। বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যমই সেই ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে বুঝে কিংবা না বুঝে। সারাদিন পর্যক্ষেণ করে এমনটাই মনে হচ্ছে!
এই ঘটনায় মস্কো শহরে কারো প্রবেশে কিংবা প্রস্থানে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে চেকপোস্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। সব অনুষ্ঠান, বিশেষ করে কনসার্ট, ফুটবল ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। রুশ গণমাধ্যম বলছে, রোস্তভ ছাড়া বাকি শহরে ওয়াগনার বাহিনীর গতিবিধির খবর সঠিক নয়।
রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন মস্কোর সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। মূলত রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সামরিক প্রধানের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য এর নেপথ্যে কিছু কারণ রয়েছে। গত কয়েক মাসে ওয়াগনার প্রধানের বক্তব্য এবং ওয়াগনার গ্রুপ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সামরিক প্রধানের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে কিছু বিষয় উঠে আসে।
ওয়াগনার প্রধান বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানে ওয়াগনার বাহিনীকে পর্যাপ্ত অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে না রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ওয়াগনার বাহিনীর সামরিক সাফল্যের খবর রুশ সামরিক বাহিনীর বলে প্রচার করার অভিযোগ করা হয়। এছাড়া ওয়াগনার বাহিনীর সঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি চুক্তির বিষয় স¤প্রতি আলোচনায় আসে। এই চুক্তি হলে ওয়াগনার বাহিনীর ক্ষমতা কমে যাবে এবং এই বাহিনী রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বলে ধারণা করে থাকতে পারেন ওয়াগনার প্রধান। সর্বশেষ রুশ সামরিক বাহিনী ওয়াগনার বাহিনীর উপর পেছন থেকে হামলা করার অভিযোগ করা হয়, যেসব হামলায় অনেক ওয়াগনার সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এদিকে রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল বলেছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের কারণে ওয়াগনার প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মামলায় প্রিগোশিনের ১২-২০ বছরের জেল হয়ে যেতে পারে। এদিকে মস্কোসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাশিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের বিশেষ ইউনিটগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
মস্কোতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ভাগনার বাহিনীর বিদ্রোহকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, তাদের এমন পদক্ষেপ জনগণের ‘পিঠে ছুরিকাঘাতের শামিল’। ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের নাম উল্লেখ না করে পুতিন বলেন, কারো কারো উচ্চাকাক্সক্ষা তাদের গভীর রাষ্ট্রদ্রোহিতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জড়িতদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। যারা রাশিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। মস্কো ও অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে এখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে এই বিদ্রোহের পিছনে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে ভাষণে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করেছেন পুতিন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়