শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেব দুলাল মিত্র ও বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আজ, সোমবার। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে খুলনাবাসী তাদের নতুন নগর পিতাকে বেছে নেবেন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এই সিটিতে মেয়র পদে লড়ছেন মোট ৫ জন প্রার্থী। আর কমিশনার প্রার্থীর সংখ্যা ১৩৬ জন। খুলনার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের সিটি নির্বাচনের ফলাফল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অনেকটা প্রভাব ফেলবে- এমন ভাবনা থেকে নির্বাচনকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যদিও বিএনপি-জামায়াত এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
প্রার্থীদের সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রয়েছে শনিবার রাত ১২টা থেকে। নগরীর সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে সাত হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনায় মেয়র পদের জন্য পাঁচজন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তারা হলেন- তালুকদার আব্দুল খালেক (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নৌকা), মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পাটি, লাঙ্গল), মো. আ. আউয়াল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাতপাখা), এস এম

শফিকুর রহমান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি), এস এম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল)।
সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য লড়ছেন মোট ১৭৫ জন। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে ১৪ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সলির প্রার্থী। ওই দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এস এম খুরশীদ আহম্মেদ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জেড এ মাহমুদ। তারা দুজনই বর্তমান কাউন্সিলর।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে ভোটের সব প্রস্তুতি নিয়েছে। গতকালই সব কেন্দ্রে নির্বাচনসামগ্রী ও ইভিএম পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোন ভোট কেন্দ্রে ইভিএমে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবর্তন করে দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ৭ জন পুলিশ ও ১৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ঝুঁঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২ জন করে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। শহরে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। নির্বাচনের আগে ও পরে ৪ দিন তারা নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির টহল টিমের সঙ্গে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জানিয়েছেন, কেসিসি নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমসহ নির্বাচনসামগ্রী প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাঠানো হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে ২ হাজার সিসি ক্যামেরায় স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবেন এমন ৫ হাজার ৪৮৫ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ২৮৯ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়