শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

বোতলজাত : সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বোতল বা প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর দুই টাকা কমিয়ে পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৩৩ টাকা।
দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সভাশেষে গতকাল রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ভোজ্যতেল দুটির নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছেন।
তপন কান্তি ঘোষ জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে। তাই দেশের বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে ভোক্তারা নতুন নির্ধারণ করা দামে ভোজ্যতেল পাবেন। তিনি বলেন, ‘দাম কমিয়ে এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকায়, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকায় বিক্রি হবে। আর পাম তেলের দাম লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে সবশেষ গত ৪ মে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো হয়। সে সময় প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৩৫ টাকা।
আমদানি বন্ধ থাকায় আদা ও চিনির সংকট : বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, ভারত থেকে চিনি ও চীন থেকে আদা আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারে এসব পণ্যের সংকট রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার যখন বেশি অস্থিতিশীল থাকে তখন দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখা খুব কঠিন। তিনি বলেন, কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঈদ কেন্দ্রিক নিত্যপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ছিল এ দিনের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ভোজ্যতেল বেশি প্রয়োজন হবে। ঈদে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে। আজকে তেলের দাম কমিয়ে দেয়া হলো। লবণের উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো রয়েছে।
এছাড়া চীনে আদা উৎপাদন কম হওয়ায় তারা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। মিয়ানমার থেকে এখন আদা আমদানি হচ্ছে। দেশে গত এক বছরে গম আমদানি ২৪ লাখ টন এবং চিনি আমদানি ৭২ হাজার টন কম হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।
সরকার দাম নির্ধারণ করলেও ব্যবসায়ীরা তা অমান্য করছে, এ বিয়য়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য সচিব বলেন, চিনির প্রধান উৎস ব্রাজিল ও ভারত। এই মুহূর্তে ভারত থেকে চিনি আমদানি বন্ধ। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ফলে টিসিবির আন্তর্জাতিক টেন্ডারের চিনিও দেশে আনা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে চিনির একটা সংকট যাচ্ছে। চিনির দাম প্রতিটন ৪৫০ ডলার থেকে বেড়ে গিয়ে প্রায় ৭০০ ডলারে ঠেকেছে।
নতুন প্রস্তাব প্রসঙ্গে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন। আমদানি কম হওয়ায় দামের প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশের চিনি চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে। এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের প্যারামিটার বিশ্লেষণ করে দেখব যে, আসলে পরিস্থিতি কী?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়