শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় গ্রাহক দুর্ভোগ : শ্রীনগরে ৮ মাসে ৫০ ট্রান্সফরমার চুরি

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : শ্রীনগরে ৮ মাসে পল্লী বিদ্যুতের ৫০টি ট্রান্সফরমার ও ২১৩ মিটার তার চুরি হয়েছে। চুরি করার সময় পল্লী বিদ্যুতের কর্মী ও স্থানীয়রা আসামি ধরে থানায় দেয়ার পর সেই ২টি ঘটনায়ই শুধু মামলা হয়েছে। অথচ শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বলছেন ৩৭ বার চুরির ঘটনায় প্রতি বারই শ্রীনগর থানায় এফআরআই করা হয়েছে। এক সঙ্গে একাধিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় গ্রাহক চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে এই বছরের মে মাস পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে কুকুটিয়া, ষোলঘর, আটপাড়া, পাটাভোগ, হাঁসাড়া, কোলাপাড়া, তন্তর, বীরতারা ও শ্রীনগর এই ৯টি ইউনিয়ন থেকে ৫০টি ট্রান্সফরমার ও আটপাড়া, হাঁসাড়া এবং শ্রীনগর ইউনিয়ন থেকে ২১৩ মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার গুলোর রেটিং ৫ থেকে সাড়ে ৩৭ কেভিএ। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির গত সভায়ও আলোচনা হয়েছে।
শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সূত্র জানায়, চুরি যাওয়া এসব ট্রান্সফরমার ও তারের আনুমনিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুসারে প্রথমবার ট্রান্সফরমার চুরি হলে এর অর্ধেক মূল্য গ্রাহক ও অর্ধেক মূল্য সমিতি বহন করে। কিন্তু একই স্থান থেকে দ্বিতীয় বা তার অধিকবার চুরি হলে এর পুরো অর্থ গ্রাহককেই পরিশোধ করতে হয়। অর্থ পরিশোধ না করার কারণে অনেক স্থানে চুরি যাওয়ার পরও এখনো ট্রান্সফরমার লাগানো সম্ভব হয়নি। যে কারণে অনেক গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
গত ৬ জুন রাত দেড়টার দিকে উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় বৈদ্যুতিক শকে খুঁটির ওপর থেকে নিচে পড়ে গেলে আহত অবস্থায় চোর রাসেল শিকদারকে (২৩) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
রাসেল পদ্মা দক্ষিণ থানার হাজরাকান্দা এলাকার হবি শিকদারের ছেলে। সে শ্রীনগর কাঠপট্টি হালিম মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। রাসেলসহ চক্রের সদস্য ফরিদপুরের আরমান, শ্রীনগর উপজেলার মথুরাপাড়ার মো. আমজাদের ছেলে হৃদয়, দেওপাড়ার মো. রফিকের ছেলে আব্দুল্লাহ মিলে সংঘবদ্ধ হয়ে চুরির পরিকল্পনা করে। রাসেল শক খেয়ে নিচে পড়ে গেলে বাকিরা পলিয়ে যায়। চক্রটি বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করে আসছিল বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল স্বীকার করেছে।
অপরদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর হাঁসাড়া এলাকায় ৩৩ কেবি সঞ্চালন লাইনের তার চুরি করার সময় কেরাণীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে এমএ নাদিমকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা মোটরসাইকেলসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। চক্রের বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়।
শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মদন গোপাল সাহা বলেন, ট্রান্সফরমার ও তার চুরির ৩৭টি ঘটনায় প্রতিবারই শ্রীনগর থানায় এফআইআর করা হয়েছে। এফআইআরের রিসিভ কপি দেখিয়ে তিনি আরো বলেন বেশ কয়েকবার একসঙ্গে একাধিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। শ্রীনগর থানা পুলিশ ২টি মামলা রেকর্ড করেছে। পুরো জেলার মধ্যে শ্রীনগরেই সবচেয়ে বেশি ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে। চোর ধরার পর কোথায় এগুলো বিক্রি হচ্ছে তা বের করে সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি দাবি জানান। শ্রীনগর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমার চোর রাসেলের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়েছে। আশা করছি পুরো চক্রটিকে বের করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়