শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

তালুকদার আব্দুল খালেক : জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, খুলনা থেকে : খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) জনপ্রিয় ও পরীক্ষিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বর্ষিয়ান এই রাজনৈতিক নেতা এবারো নৌকার কাণ্ডারি হয়েছেন। বিগত সময়ের সাফল্য ব্যর্থতা এবং নতুন পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার নিয়ে ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সাফল্য ব্যর্থতা সবারই আছে। বিগত পাঁচ বছরে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শতভাগ সফল হয়েছি সেই দাবি আমি করব না। আমার দায়িত্ব¡ পালনকালে একটি বড় সময় নষ্ট হয়েছে করোনা মহামারির কারণে। প্রায় তিন বছর ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারিনি। অনেক কাজ মাঝপথে থেমে যায়। নগরবাসীকেও কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনিচ্ছাকৃত এই বিলম্বের জন্য আমি এবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তবে করোনা পরবর্তীকালে কেসিসির নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে অনেক কাজ শেষ করেছি, যার সুফল এখন নগরবাসী পাচ্ছে। আমার পরিকল্পিত উন্নয়নকাজ শেষ হলে খুলনা সিটি করপোরেশন একটি স্বাস্থ্যকর ও আধুনিক নগরীতে পরিণত হবে। আমার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্যই আমি আবারো মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। খুলনাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এই নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি শুরু থেকেই পরিকল্পনা করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করি। নগরীর অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থায় অনেক কাজ হয়েছে। আমি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার পাশাপাশি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রæতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে কাজ করব। নগরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও মাটির নিচের পানি সংরক্ষণে প্রাকৃতিক নদী, খাল ও জলাশয় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেব। পুরাতন যশোর রোড, খালিশপুর, সোনাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এডিবির অর্থায়নে নগরীর স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি ‘সিটি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান’ প্রস্তুত করার পর নগরীর সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
নগরীবাসীর জন্য সুপ্রিয় পানি সরবরাহ ও সুন্দর পরিবেশ গঠন প্রসঙ্গে নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, দূষিত পানি রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৃষ্টির পানির ব্যবহার বাড়াতে নগরভিত্তিক টেকসই পানিচক্র প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়