শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

আব্দুল আউয়াল : বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলব

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, খুলনা থেকে : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও দলীয় মেয়র প্রার্থী আব্দুল আউয়াল বলেছেন, বিজয়ী হলে শিল্পনগরী খুলনার ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলব। সব শ্রেণির মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে নাগরিকদের মাঝে ন্যায্য সেবার ব্যবস্থা করব। গতকাল রবিবার ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আউয়াল বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করব। নাগরিক সেবার সব কার্যক্রমকে ওয়ার্ড পর্যায়ে পৌঁছে দেব। ওয়ার্ডভিত্তিক খোলা জায়গা, মাঠ, ঈদগাহ, কমিউনিটি সেন্টার, মশক নিয়ন্ত্রনণকেন্দ্র, পানি ও গ্যাস সরবরাহ লাইন স্থাপন, প্রয়োজনীয় সেবাকর্মী, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মাতৃসদনসহ জরুরি সব সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করব।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসনমুক্ত, মাদকমুক্ত, শ্রমিকবান্ধব ও পরিকল্পিত বসবাস উপযোগী আদর্শ নগরী হিসেবে খুলনাকে গড়ে তুলতে ইসলামী আন্দোলনের বিকল্প নেই। ভোট যেমন একটি পবিত্র আমানত, তেমনি একটি সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটিও গুরুত্বপূর্ণ। এই আমানত রক্ষা ও কর্তব্য পালনে ১২ জুনের নির্বাচনে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার সব ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিজয়ী হলে পায়ে চালিত রিকশা-ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজি-অটোবাইক এবং জ্বালানি তেলচালিত মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য হালকা যানের লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে। উক্ত লাইসেন্স শুধু প্রকৃত ড্রাইভারকেই প্রদান করা হবে। খুলনা সিটির বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড ও মালামাল ওঠা-নামার ঘাটসমূহে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। ৩০% হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে।
আব্দুল আউয়াল আরো বলেন, কেসিসির বর্ধিতকরণ প্রকল্পে যেসব নতুন এলাকা যুক্ত করা হয়েছে, সেসব এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য মওকুফ করা হবে। তাদের পানির লাইন বিনা খরচে দেয়া হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন এলাকার রাস্তাঘাট ও স্যুয়ারেজ লাইন মানসম্মতভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে স¤পন্ন করা হবে। টেকসই ও উন্নত রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেসিসিতে টেন্ডার হবে, কিন্তু টেন্ডারবাজি হবে না। ই-টেন্ডারিং চালু করা হবে। কেসিসির সামগ্রিক আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট প্রতি বছর প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়