পেঁয়াজ-সবজির দামে স্বস্তি, মাছ চড়া

আগের সংবাদ

ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা কার ভাগ্যে ছিঁড়বে শিকে

পরের সংবাদ

দম্ভ-মিথ্যাচার তবুও ছাড়েনি জামায়াত

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতাদের ‘শহীদ’ বলে আখ্যায়িত করেছে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তিও দাবি করেছে অনিবন্ধিত এই রাজনৈতিক দলটি। গতকাল শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের নেতারা এসব দম্ভোক্তি ও মিথ্যাচার করেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিরোধ, আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াত এই সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে দলটির নেতারা বলেন, ষড়যন্ত্র করে ভুয়া অভিযোগের মাধ্যমে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছে সরকার। খুব বেশি দিন বাকি নেই, আপনাদের এই ষড়যন্ত্র থাকবে না। সমাবেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের শহীদ উল্লেখ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। পাশাপাশি ফাঁসি কার্যকর হওয়া নেতাদের জামায়াতের অলংঙ্কার ও উজ্জ্বল নক্ষত্র দাবি করে এই প্রজন্মের শিবির নেতারা নিজেদের যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরি হিসেবে গর্ববোধ করার কথা জানান।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক তৎপরতার প্রশংসা করে ও সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে জামায়াত নেতা সফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, যে সরকার জামায়াতকে সন্ত্রাসী ও নিষিদ্ধ দল বলেছে, সেই তারাই আজ আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এখন তারাই প্রমাণ করেছে, জামায়াত কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। জামায়াত একটি সুশৃঙ্খল দল। এখন আপনাদের মুখ কোথায় যাবে? আপনারাই প্রতারক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। আমাদের মুখ খুলেছে, আর বন্ধ হবে না।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, অবশেষে জালিম সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি কালো সাপ। তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এদের কাছে কখনো গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিরাপদ নয়। জনমতকে উপেক্ষা করে পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিন। না হলে রাজপথ উত্তপ্ত হবে। আলেম ওলামাদের গ্রেপ্তার করে জনমতের রোষ থেকে নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবেন না। সময় এসেছে, গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে এই অত্যাচারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। সমাবেশে অনুপস্থিত জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি জামায়াত আমিরের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়