গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

এক পরিবারে ৫ প্রতিবন্ধীভাতা জোটে তিনজনের : হোসেনপুর

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. জাকির হোসেন, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) থেকে : হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমাড়া গ্রামের শামছুদ্দিন পাঁচজন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জন্ম সময় কৈশোরকালের আগ পর্যন্ত সবারই শারীরিক গঠন ও চলাফেরায় কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা দেখা না গেলেও ১৩-১৪ বছর বয়সে উপনীত হওয়া মাত্রই কোমরের নিচের দিক অবশ হয়ে পড়ে। তখন থেকেই চলাফেরায় অক্ষম হয়ে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়। এই পাঁচজন প্রতিবন্ধীর মধ্যে ভাতা পান মাত্র তিন জন। এ পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
গত রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে কথা হয় ওই পরিবারের সঙ্গে। কথা বলে জানা যায়, শামছুদ্দিনের পরিবারে স্ত্রী নুরজাহান, পাঁচ ছেলে, এক মেয়েসহ ১৩ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে চার ছেলে মো. নয়ন মিয়া (৩৫), মো. রাজিব মিয়া (২৮), মো. নাজমূল মিয়া (২৪), মোছা. খাদিজা (২০), মামুন মিয়াকে (১৬) হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হচ্ছে। এ জন্য তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিশাল এ সংসারে সরকারি সহায়তা বলতে তিনজনের প্রতিবন্ধী ভাতা। পাঁচজনের মধ্যে একটি মাত্র হুইল চেয়ার কিছুদিন আগে প্রবাসীদের অর্থায়নে কিনে দেয়া হলেও অন্যদের হুইল চেয়ারের অভাবে হামাগুড়ি দিয়েই চলতে হচ্ছে। টাকার অভাবে তাদের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। প্রতিবন্ধী নয়ন মিয়া ঠাডারকান্দা বাজারে আরিফ মিয়ার দোকানে সাইকেল মেরামতের কাজ করেন। এছাড়া প্রতিবন্ধী রাজিব বাড়ির পাশে ছোট একটি মনিহারি দোকান দিয়ে বসে থাকেন। অর্থ সংকটের কারণে দোকানে মালামালও অল্প।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকুর সঙ্গে তাদের চিকিৎসার বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। অচিরেই তিনি জেলা সিভিল সার্জন মো. সাইফুল ইসলাম ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এ পরিবারের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়