‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। রোডমার্চের শুরুতেই কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হলে এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মঞ্চের নেতারা।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রোডমার্চ শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। এই রোডমার্চে আরো অংশ নিচ্ছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন পাটোয়ারী প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা মৎস্যভবন মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন। পরে গাড়িতে করে তারা গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, টাঙ্গাইলে যে স্থানে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ হওয়ার কথা, সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ঘোষণা করেছে। পুলিশ এখনো গণতন্ত্র মঞ্চের জন্য সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করে দেয়নি। আমরা বলেছি, আমাদের রোডমার্চে বাধা দিতে আসবেন না।
ঢাকা থেকে রোডমার্চ শুরুর পর প্রথম সমাবেশ গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তায় হবে উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, এরপর টাঙ্গাইলে সমাবেশ হবে। পরে ?সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও রংপুরে সমাবেশ করব। এসব সমাবেশে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না।
জোনায়েদ সাকি দাবি করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কলঙ্কজনক যে নির্বাচন হয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতেই ভিসানীতি (যুক্তরাষ্ট্রের) দেয়া হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এটা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকা যাওয়ার দরকার নেই। আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বাংলাদেশের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ২০২৩ সালে সরকার একইভাবে (২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো) নির্বাচন করার চিন্তা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসানীতি দিয়েছে।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেমন অবস্থান নিয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। আজ তারা একা হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে, ভবিষ্যতে একতরফা নির্বাচন করতে চায় বলেই নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়