করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

আহত দুজনের পরিচয় মিলেছে : মৃত্যু তালিকায় নেই বাংলাদেশি

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখনো কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের নাম পাওয়া যায়নি। তবে দুজন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের মুখপাত্র রঞ্জন সেন। তারা হলেন- রাজশাহীর রাসেলুজ্জামান ও বগুড়ার হাবিবুর রহমান। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতার ডেপুটি মিশন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশি কোনো নাগরিক দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে ছিল কি না, সে বিষয়ে খোঁজ রাখতে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন রেল কর্তৃপক্ষ ও ওড়িশার রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এ বিষয়ে তথ্যের জন্য একটি হটলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর : +৯১ ৯০ ৩৮ ৩৫ ৩৫ ৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ)।
রঞ্জন সেন জানান, শুক্রবার রাত থেকে হটলাইন সচল রয়েছে। রাসেলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হটলাইনে জানিয়েছেন, রাসেল এখন ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর হাবিবুর রহমানের নাম পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস নবান্নের তালিকা থেকে। তারা দুজনেই কলকাতার কাছে শালিমার স্টেশন থেকে ‘করমণ্ডল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চেন্নাই যাচ্ছিলেন।
আরেকটি সূত্রের খবর, ওই ট্রেনের এক বাংলাদেশি যাত্রী ঘটনাস্থল থেকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, তার বগিতে ৭ থেকে ৮ জন বাংলাদেশি ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন।
দুর্ঘটনাকবলিত করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার মো. আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আক্তারুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিকট শব্দ পেয়ে বুঝলাম সামনে কিছু একটা ঘটেছে। চেয়ে দেখার চেষ্টা করলাম, কিন্তু হলো না। শুধু কানে ভেসে এল চিৎকার-চেঁচামেচি। পেছনের কামরা থেকে নেমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। সেটাও সম্ভব হলো না। আমাদের সরিয়ে নেয়া হলো, ঘটনাস্থলে যেতে দেয়া হলো না। সরানোর সময় চোখে পড়ল নিহত-আহত ব্যক্তিদের নিয়ে ছোটাছুটি। বুঝলাম ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। হতাহত ব্যক্তিদের দেখে প্রচণ্ড ভয় পেলাম, বুঝে নিলাম বড় দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি।
আক্তারুজ্জামান মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। তার স্ত্রী নূরজাহান একজন গৃহিণী। চিকিৎসার জন্য তারা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে তামিলনাড়ু রাজ্যের ভেলরে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় তাদের আরেকটি ট্রেনে তুলে দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়