করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

অসুস্থতায় ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে রিবাকিনার নাম প্রত্যাহার

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফ্রেঞ্চ ওপেনের নারী এককে দাপটের সঙ্গে গ্র্যান্ড স্ল্যামের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কাজাখস্তানের এলিনা রিবাকিনা। তবে অসুস্থতার কারণে গতকাল এবারের আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। প্রথম দুই রাউন্ডে সরাসরি সেটে জয় পেয়েছিলেন এই তারকা। অপরদিকে ফ্রেঞ্চ ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের গ্র্যান্ডস্ল্যামজয়ী আরিনা সাবালেঙ্কা।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে গতকাল স্পেনের সারা সরিবও তোর্মের বিপক্ষে কোর্টে নামার কথা ছিল রিবাকিনার। তবে তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রিবাকিনা বলেন, ‘গত দুই দিন আমি ভালোমতো ঘুমাতে পারিনি। জ¦র ও মাথাব্যথা ছিল। এই অবস্থায় পারফর্ম করা, দৌড়ানো এমনকি নিঃশ্বাস নেয়া কঠিন। তাই আমি মনে করি সরে দাঁড়ানোই একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, যা আমি নিতে পারতাম।’ ফ্রেঞ্চ ওপেনের গত আসরে খুব একটা ভালো সময় কাটাননি রিবাকিনা। সেবার তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েন ২৩ বছর বয়সি এই টেনিস তারকা। তবে এবারের আসরে তিনি ছিলেন নিজের ফর্মের চূড়ায়। প্রথম রাউন্ডে রিবাকিনা ৬-৪, ৬-২ গেমে হারান ব্রেন্দা ফ্রুভির্তোবাকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তার দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে পাত্তাই পাননি চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড় লিন্দা নসকোভা। রিবাকিনার কাছে তিনি ৬-৩ ও ৬-৩ গেমে পরাজিত হন। দারুণ ছন্দে থেকেও এবার খেলতে না পেরে হতাশ রিবাকিনা। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই খেলতে না পেরে খুবই হতাশ আমি। তবে আমার মনে হয়, এটাই জীবন। যেখানে প্রচুর উত্থান-পতন থাকবে। আমি নিজের শতভাগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শতভাগ ফিট হওয়া থেকে দূরে আছি আমি। অনুশীলনে সত্যিই চেষ্টা করেছি। কিন্তু মনে হয়েছে সরে দাঁড়ানোটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ এমন অবস্থায় খেলা খুবই কঠিন।’
অপরদিকে টুর্নামেন্টের তৃতীয় রাউন্ডে জয় পেয়েছেন আরিনা সাবালেঙ্কা। তিনি রাকিমোভাকে ৬-২, ৬-২ গেমে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ড নিশ্চিত করেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আলো ছড়ান তিনি। সবাইকে পেছনে ফেলে জিতে নেন ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম ট্রফিটি। রোঁলা গাঁরোয়ও সেই পথে আছেন। তিনি ছাড়াও চতুর্থ রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন আরেক রাশিয়ান অ্যানাস্তাসিয়া পাভলেয়োচেনকোভা ও বেলজিয়ান তারকা এলিস মারটেন্স। পাভলেয়োচেনকোভা ৪-৬, ৬-৩ ও ৬-০ গেমে জয় পেয়েছেন পোটাপোভার বিপক্ষে। বেলজিয়ান টেনিস তারকা মারটেন্স ৬-১ ও ৬-৩ গেমে হারান যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলাকে। ফ্রেঞ্চ ওপেনের নারী এককে তারকাদের সফলতা নিয়ে আলোচনার সঙ্গে পুরুষ এককে চলছে মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়ে সমালোচনা। জাতীয়তাবাদী আচরণের কারণে সমালোচনার মুখে সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। নিজ দেশের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি কসোভোকে নিজেদের দাবি করেন। এছাড়া গত বুধবার গত বুধবার ফ্রেঞ্চ ওপেনে দ্বিতীয় রাউন্ডে মার্টন ফুকসোভিকসের বিপক্ষে খেলতে নেমে ম্যাচে বল-গার্ল একটা কিছু এনে দেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা সার্বিয়ান তারকাকে। টি-শার্টের নিচে বুকের ওপর প্যাচ বা তাপ্পির মতো কিছু একটা বদলাতে দেখা যায় তাকে। স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ তৈরি হয় সেটি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে সে ভিডিও। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান জিনিসটি ছিল ন্যানোটেকনোলজি।
এর আগে প্রথম রাউন্ডে জয়ের পর জোকোভিচ ক্যামেরায় লেখেন, সার্বিয়ার হৃদয় কসোভো। সহিংসতা থামাও। এরপর তার এমন লেখার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ঘটনা কসোভো স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে (আইওসি) ওই ঘটনার জন্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায় দেশটির অলিম্পিক এসোসিয়েশন। আইওসির সভাপতি থমাস বাখকে লেখা চিঠিতে জোকোভিচের বিরুদ্ধে খেলাধুলার নীতি ও ‘অলিম্পিক চার্টার’ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। বলা হয়েছে, নোভাক জোকোভিচ আবারো সার্বিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হয়ে অপপ্রচার করেছেন। আর এটি করতে তিনি খেলাধুলার প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন। বিতর্ক মাথায় নিয়েই এই টেনিস তারকা দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমেছিলেন। সেই ম্যাচে তিনি হাঙ্গেরির মার্টন ফুসোভিসকে ৭-৬, ৬-০ ও ৬-৩ সেটে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে ওঠেন। সেদিন জোকোভিচকে একাধিকবার ব্রেক করে ৫-৫ সমতা এনেছিলেন ফুসোভিস। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে এমন প্রতিরোধ পেয়ে কিছু সময়ের জন্য তিনি মেজাজও হারিয়ে বসেন। তবে টাইব্রেকারে সেট জিতে নেন জোকোভিচ। পরের সেটের প্রথম গেমেই ফুসোভিসকে ব্রেক করেন এই সার্বিয়ান তারকা। এরপর আর প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেননি জোকোভিচ। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় সেটেও তিনি অনায়াসে জয় তুলে নেন। ম্যাচ শেষে জোকোভিচ গণমাধ্যমকে বলেন, পাশে থাকার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করি আজ আমার খেলা দেখে, বিশেষ করে প্রথম সেট দেখে সবাই মজা পেয়েছেন। আমি অবাক হইনি। ফুসোভিসকে আগে থেকেই চিনি।
সব ধরনের কোর্টে সমানভাবে খেলতে পারে সে।’ ম্যাচের পর আবারো ক্যামেরার লেন্সে স্বাক্ষর করেন জোকোভিচ। তবে এবার আর কোনো রাজনৈতিক বার্তা ছিল না। কসোভোসংক্রান্ত বিতর্ক জোকোভিচকে থামিয়ে রাখতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জানি না, এতে আমাকে শাস্তি দেয়া হবে কিনা…তবে আমি পিছিয়ে যাচ্ছি না, আমি আবার এটা করব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়