মহাখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

আগের সংবাদ

দূষণ আর দখলে জর্জরিত ভৈরব, নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য

পরের সংবাদ

২২তম শিরোপা মোসাদ্দেক হোসেনের দলের : শেখ জামালকে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল আবাহনী

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) এবারের আসরের শেষ দিনে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে আবাহনী লিমিটেড। এই প্রতিযোগিতায় এটি তাদের ২২তম শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল দুই দলের সামনে। তবে শেষ হাসি হাসে আবাহনী। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে গতকাল শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। লিগের অপর ম্যাচে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭৩ রানে হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
টসে জিতে শেখ জামালকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানের বড় সংগ্রহ পায় নুরুল হাসান সোহানের দল। ২৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতোই ভালো শুরু করেন আবাহনীর দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুই ব্যাটার মিলে তোলেন ১৪৫ রান। এই জুটি ভাঙেন তাইবুর রহমান। ৭৯ বলে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। এরপর আর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি বিজয়। আরিফকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ৮১ বলে ৭২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ওপেনার। ওয়ানডাউনে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ১৮ বলে ৯ রান করে তাইবুরের শিকার হরে ফেরেন তিনি। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে আবাহনী। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে আবারো দলের হাল ধরেন জাকের আলী অনিক ও আফিফ হোসেন ধ্রæব। দলীয় রান ২০০ হওয়ার আগে ২৮ বলে ২১ রান করে অনিক সাজঘরে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান আফিফ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক। দলকে ২৫০ এর ঘরে নিয়ে গিয়ে ২২ বলে ২২ রান বিদায় নেন মোসাদ্দেক। ইনিংস বড় করতে পারেননি পাকিস্তানি খুশদিল শাহ। ৮ বলে ৫ রান করে বিদায় নেন তিনি। তবে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান আফিফ। শেষ ৫ বলে আবাহনীর দরকার ছিল ২ রান। শফিকুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত করেন তানজিম সাকিব। বল সীমানা পার হওয়ার আগেই এক ছুটে ক্রিজের কাছাকাছি চলে আসেন আবাহনী লিমিটেডের ক্রিকেটাররা। ৪৯.২ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে আবাহনী। ৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিম। আর ৫৩ বলে অপরাজিত ৬০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন আফিফ।
ম্যাচ শেষে আফিফ বলেন, ‘আমি আসলে এত বেশি চিন্তা করতে পছন্দ করি না। আমি শুধু আমার খেলাটা খেলতে এসেছি। চিন্তা করেছি যেন ভালো খেলতে পারি। অবশ্যই ভালো খেলতে পেরেছি। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমার অবদান ছিল, খুশি। আর আমি কখনোই প্রত্যাশা রাখি না। আমি সব সময় বর্তমানে থাকতে পছন্দ করি। এখানে খেলাগুলোতে আমি ফোকাস করেছি। সামনে যে খেলাগুলো আছে সেগুলোয় ফোকাস করব। চ্যাম্পিয়ন হতে তো সবারই ভালো লাগে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমাদের সবারই লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমাদের ওপেনার দুজন পুরো টুর্নামেন্টে ভালো শুরু এনে দিয়েছে। যে কারণে আমাদের জিনিসটা সহজ হয়ে গেছে। আর মিডল অর্ডারে আমাদের মোটামুটি সব ব্যাটারই ছন্দে ছিল। এজন্য শিরোপা জেতা সম্ভব হয়েছে।’
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালের। স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে শেখ জামাল। দ্রুত উইকেট হারালেও তাইবুর রহমানকে নিয়ে জুটি গড়েন ফজলে মাহমুদ। তবে দলীয় রান ১০০ হওয়ার আগে ৭০ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন রাব্বি। এরপর ক্রিজে এসে তাইবুরকে নিয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৮৫ বলে ৫৩ রান করে তাইবুর বিদায় নিলেও পারভেজ রসুলকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ৩৭ বলে ৪২ রান করে পারভেজ ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন দলীয় অধিনায়ক। সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানে অপরাজিত থাকতে হয় সোহানকে। শেষ বলে জিয়া রান আউট হলে ৭ উইকেটে ২৮১ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের মর্যাদা পাওয়ার পর এটি খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যদের পঞ্চম শিরোপা। এছাড়া দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে এটি তাদের ২২তম শিরোপা। অন্য কোনো দল ১০ বারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হতাশায় ডুবিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল শেখ জামাল। তবে পরের আসরেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করল মোসাদ্দেক হোসেনের দল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়