ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

স্যাংশন দেয়া দেশ থেকে কিছু কেনাকাটায় মানা করে দিয়েছি : সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

দূষণ আর দখলে জর্জরিত ভৈরব, নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : বছর পাঁচেক আগে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেহেরপুরের ভৈরব নদের ২৯ কিলোমিটার অংশ পুনর্খনন করা হয়। পুনর্খননে তখন ফিরে আসে হারানো সৌন্দর্য, মৃতপ্রায় ভৈরব নদে বইতে শুরু করে ¯্রােত। কিন্তু মাত্র ৫ বছর যেতে না যেতেই দূষণ আর দখলে হারাতে বসেছে তার ফিরে পাওয়া যৌবন। সেইসঙ্গে নষ্ট হচ্ছে ভৈরবের সৌন্দর্য। এছাড়া পুনর্খননের ২৯ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়েই কচুরিপানায় ভরপুর। ফলে পুনর্খননের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, দখল আর দূষণে একসময়ের প্রমত্তা ভৈরব মরা খালে পরিণত হয়। নদটি পুনর্খননের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসে এলাকাবাসী। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিবনগরের আ¤্রকাননে এলে এ দাবি জোরালো হয়। তখন তিনি ভৈরব নদ পুনর্খননের প্রতিশ্রæতি দেন। পরে ভারত থেকে বাংলাদেশে ভৈরবের প্রবেশদ্বার গাংনী উপজেলার কাথুলী থেকে মুজিবনগরের রতনপুর পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার পুনর্খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৭০ কোটি ৬৫ লাখ ৫১ হাজার ২১৬ টাকা। ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল নদের পুনর্খনন কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিলে কাজ শেষ হলে সরূপে ফেরে ভৈরব নদ। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স লিমিটেড ১৯২২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী নদের সীমানা পর্যন্ত পুনর্খনন করে। এতে নদী পাড়ের অবৈধ দখলদারও উচ্ছেদ হয়।
জানা গেছে, রতনপুর থেকে কাথুলী পর্যন্ত নদের দুই পাড়ে অনেক বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছিল দখলদাররা। পুনর্খননের সময় সেগুলো ভেঙে দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়। কিন্তু খনন শেষে নদ পাড়ের বাসিন্দারা তাদের নিজ নিজ জমির সীমানার নিচে ফের দখল করে নিচ্ছে। কেউ গাছ লাগিয়ে কেউ আবার বেড়া দিয়ে দখলে মেতে উঠেছে। ফলে নদের পাড় দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের সুযোগ নেই। যদিও সরকার ২৪ কিলোমিটার নদের দুপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে পাড় দখল হওয়ায় ও পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় ৮ কিলোমিটার বাদ দিয়ে ১৬ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানয়িরাজানান, নদটি পুনর্খননের পর যত্রতত্র মাটি ফেলে পাড় বাঁধা হয়েছে। কোনো ড্রেসিং করা হয়নি। ফলে মাটি কেটে চলাচলের পথ তৈরি করতে গিয়ে অবৈধভাবে দখল করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া মিয়লা-আবর্জনা অবাধে ভৈরবে ফেলা হচ্ছে।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন মেহেরপুরের সুবাহ সংস্থার উপদেষ্টা রফিকুল আলম বলেন, অপরিকল্পিতভাবে খনন করে তাদের ইচ্ছেমতো মাটি ফেলে রাখা হয়েছে।
ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এমন হয়েছে বলে দাবি মেহেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের। জলাশয় রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন, নদটি ব্যবস্থাপনায় ও দখল-দূষণ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান প্রধান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়