সুদান পরিস্থিতি : বাংলাদেশিসহ ৫২ জনকে উদ্ধার করল সৌদি আরব

আগের সংবাদ

পাঁচ সিটিতে নির্ভার আ.লীগ : মেয়র পদে কোথাও শক্তিশালী প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় জয়ের সুবাস পাচ্ছেন নৌকার প্রার্থীরা

পরের সংবাদ

তামিমের নজর নয় মে’র দিকে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বর্তমানে সিলেটে অনুশীলনে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার ভাবনাজুড়ে এখন শুধুই আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে। অনুশীলনের ফাঁকে ওয়ানডে অধিনায়ক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে জয়ের ছক কষতে শুরু করেছেন। তামিমের নজর নয় মের দিকে। ওইদিন তারা প্রথম ম্যাচ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের ক্লাউডি কাউন্টি গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হবে দুদল। এরপর বাকি ম্যাচগুলো হবে আগামী ১২ ও ১৪ মে। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ১ মে দুই ভাগে ইংল্যান্ডে যাবে তামিম বাহিনী। চেমসফোর্ডে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচের আগে ওই আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্কিল ক্যাম্প করছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তিন দিনের স্কিল ক্যাম্প শেষে গতকাল প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, তামিমদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেটে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ক্যাম্প করেছে টাইগাররা। ইংলিশ কন্ডিশনের মতোই সিলেটের উইকেট এমনটা আগেই জানেন কোচ হাথুরুসিংহে। তাইতো উচ্ছ¡সিত হয়ে তিনি বলেন, আমরা সেখানকার আবহাওয়া ও উইকেট সম্পর্কে বেশ ভালো জানি। আমার শিষ্যরা খুবই খুশি। আমরা যেমন চাই, তেমন পিচ কন্ডিশন তৈরি করতে কিউরেটরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এটা আমাদের জন্য খুব ভালো। আপনারা ক্যাম্পে দেখেছেন ছেলেদের প্রাণশক্তি। তামিমদের প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল। আমি এটাতে বেশ খুশি।
এদিকে বিশ্বকাপ বছরে খেলোয়াড় বাজিয়ে দেখার রীতি একদমই নতুন নয়। তবে পুরনো ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়মিত সুযোগ দিয়ে তাদের বড় মঞ্চে পরীক্ষায় বসনোর আগে ঝালিয়ে নেয়া হয়। এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যেন বৈশ্বিক আসরে তাদের থেকে সেরা পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আপাতত আস্থা রাখছেন তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের ওপর, যারা হতে পারে লম্বা রেসের ঘোড়া। তাইতো গত এক-দেড় বছরে নিয়মিত খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেনকে রেখে তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী রাব্বীদেরকে নিয়মিত সুযোগ দিচ্ছেন। আয়ারল্যান্ড সিরিজের শুরুর দুই ওয়ানডেতে আফিফকে স্কোয়াডে রাখলেও পরবর্তীতে তাকে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। ফিরতি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও তাকে দলে নেয়া হয়নি। মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রামের মোড়কে দলে নেয়া হয়নি তা একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। কারণ তাদের বিশ্রাম এখনো চলছে। এই দুই ক্রিকেটারের অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা একদমই ক্ষীণ। তবে হাথুরুসিংহে কারো জন্যই দরজা বন্ধ করছেন না। দুজনকে নিয়ে আগের অবস্থানেই রয়েছেন তিনি আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ। তাদের ব্যাপারে আমি আগে যা বলেছি সেটিই থাকবে। তারা সবাই এই সীমারেখায় আছে। বিশ্বকাপের আগে তারা সবাই খেলার সুযোগ পাবে। আমরা ওই মানসিকতার কোনো পরিবর্তন করিনি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করছেন। মাহমুদউল্লাহ ধারাবাহিক না হলেও আফিফ আবাহনীর জার্সিতে ধারাবাহিক। ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সও করছেন। কিন্তু তার এই পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলের দরজা খুলবে কিনা তা বলা মুশকিল। তবে মাহমুদউল্লাহর জন্য এই দলে ফেরা খুব কঠিন বলেই মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পরিকল্পনায় মাহমুদউল্লাহ থাকলে বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজগুলোতে তাকে খেলানো হতো। শুধু মাহমুদউল্লাহ বা আফিফ নয়, সাকিবের সঙ্গী হিসেবে আরেকজন বাঁহাতি স্পিনার কে হবেন তা নিয়েও চলছে পরীক্ষা। এ পজিশনে নাসুম ও তাইজুলের মধ্যে হচ্ছে তীব্র লড়াই। কোনো সিরিজে তাইজুলকে বাজিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো সিরিজে নাসুমকে। সুযোগ পেলে দুজনই পারফরম্যান্সের ডালাপালা মেলে ধরছেন। তাদের এই লড়াই বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে তা হাথুরুসিংহেই ঘোষণা দিলেন, আমি স্কোয়াড বড় করতে চাই। সবাইকে অনেক অভিজ্ঞতা দিতে চাই। বিশ্বকাপের আগে অবধি এমন চলতেই থাকবে।
এছাড়া বাংলাদেশ দলের এখন ব্যস্ততা সময় পার করছে। টাইগাররা এখন আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় যা বাংলাদেশের জন্য নিজেদের খেলাকে শাণিত করার বেশি কিছু নয়। ভেন্যু চূড়ান্ত না হওয়া এশিয়া কাপের এবারের আসর হবে ওয়ানডে সংস্করণে, যার মূল লক্ষ্যও বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া। তামিম বাহিনী সিলেটে নিজদের ব্যাট-বল ভালোই শান দিয়েছে।
আইরিশদের বিপক্ষে আসন্ন ফিরতি ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে টাইগার ব্যাটারদের কাছে নিজের প্রত্যাশাটা খোলাখুলিই জানান হাথুরু। তিনি বলেন, ‘ওপেনার হলে ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে, কীভাবে শুরু করতে হবে এবং ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে সেটাও ভাবতে হবে। মাঝে ব্যাট করলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে। কখনো চারজন বা পাঁচজন আউট হওয়ার পর আসতে হবে (ব্যাটিংয়ে)।’
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠে তিন দিনের ক্যাম্পে হাথুরুসিংহে যা চেয়েছিলেন সবটাই পেয়েছেন, ‘আমরা কন্ডিশন নিয়ে খুবই খুশি। আমরা যেমন চাই, তেমন পিচ কন্ডিশন তৈরি করতে তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমাদের প্রস্তুতিও খুব ভালো হয়েছে। আমরা সেখানে ছেলেদের ভালো এনার্জি দেখতে পেয়েছি। ইন্টেনসিটি খুব ভালো ছিল, আমি এটাতে খুশি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়