প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

সিলেটে লিটনের ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে চেনা ছন্দে ফিরে আসেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলেও সেখানে দেখা যায় ওপেনার লিটনের ছন্দহীনতা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ফের জ¦লে ওঠেন তিনি। আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৭১ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন। ইনিংসটি গড়ার পথে তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৩৮ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটের বিশাল জয় এনে দেন। এটি তার ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি।
বাংলাদেশি পেসারদের সফলতায় মাত্র ১০১ রানেই ইনিংস আটকে যায় আইরিশদের। হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, তাসকিন আহমেদের ৩ উইকেট এবং ইবাদত হোসেনের তোলা ২ উইকেটে বড় জয় পাওয়ার ইঙ্গিত পায় টাইগাররা। তাই শুরু থেকেই অবস্থান শক্ত করে খেলা শুরু করেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস।
একদিকে ধৈর্য ধরে উইকেট সামলে রান যোগ করছিলেন তামিম, অন্যদিকে স্ট্রাইকে এসে রানে গতি দিচ্ছিলেন লিটন। দুই ব্যাটারের রক্ষণ-আক্রমণের সংমিশ্রণে ২২১ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধা ওপেনার তামিম ইকবাল খেলেন ৪১ বলে ৪১ রানের ইনিংস।
হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ২০১৫ সালের ১৮ জুন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন লিটন কুমার দাস। নজরকাড়া ব্যাটিং স্টাইলের কারণে তার ওপর সবারই উচ্চ প্রত্যাশা ছিল। তবে ক্যারিয়ারের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি তার। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের তাণ্ডবে মাত্র ৮ রান নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। পরের দুই ম্যাচে দলকে ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টায় কোনোরকমে সফল হলেও পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি মাঠ ছাড়েন শূন্যহাতে। অনুশীলনের মাধ্যমে বর্তমানে দলে ভরসার অন্যতম এক নাম লিটন। নানা কাঠখড় পুড়িয়ে তিনি এ পর্যন্ত ৫টি সেঞ্চুরিও করেছেন। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি ৬৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে সংগ্রহ করেছেন ২০৬৫ রান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৭১ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে দ্রুততম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
ছন্দহারা লিটন এর আগে ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে নিজের ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেন। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ইংলিশ বোলারদের কোণঠাসা করে স্বরূপে ফিরে আসেন লিটন। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের মধ্য দিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন ৪১ বলে। ফিফটি পূর্ণ করার পর দেখা যায় তার আরেক রূপ। ততক্ষণে নিজের অবস্থান শক্ত করে নিয়ে আরো নিশ্চিন্তে ব্যাট চালাতে শুরু করেন টাইগার টিমের এই উইকেটকিপার। শেষ পর্যন্ত দর্শকদের সেঞ্চুরি উপহার দেয়ার আশা জাগিয়ে ৫৭ বলে ৭৩ রান করে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় ফিল সল্টের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি। এই ৭৩ রানের ইনিংসই তার টি- টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়