দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড : চেয়ারম্যানকে বদলি পদোন্নতি স্থগিত ১৫ কর্মকর্তার

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর হাবিবুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। গত সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আক্তার উননেছা শিউলীর এক চিঠিতে ১৫ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়েছে। ওই ১৫ কর্মকর্তা হলেন- উপকলেজ পরিদর্শক নেসার উদ্দিন আহমেদ, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক মানিক চন্দ্র সেন, সাবেক উপসচিব (প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ ও রেকর্ডস) মঞ্জুর রহমান খান, ক্রীড়া কর্মকর্তা লিটন সরকার, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, অডিট কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) জাহিদুর রহমান ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) হোসনে আরা আরজু, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেএসসি) ফরিদ হাসান, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রিপ্ট) রুবী, উপসচিব (ভাণ্ডার) দুরুল হোদা, উপসচিব (প্রটোকল) খোরশেদ আলম, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক (রেজি) মো. নুরুজ্জামান ও লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা সুলতানা শারমিন আক্তার। পদোন্নতির পর এ পর্যন্ত তাদের গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
এর আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক তদন্তে রাজশাহী বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে গুরুতর অসঙ্গতির অভিযোগ উঠলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আলাদা দুই চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সরজমিন অভিযোগ তদন্ত করেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক দুই চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেনের কার্যকালে এসব পদোন্নতি হয়।
এসব বিষয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক যে পদক্ষেপ সেটা আমরা গ্রহণ করব। সরকারি নির্দেশ কার্যকরে কোনো অবহেলার সুযোগ নেই। তবে এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়