মানবতাবিরোধী অপরাধ : দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে চারজনের আপিল

আগের সংবাদ

ঝিকরগাছা : বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন উপসচিব

পরের সংবাদ

দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন খুবই সতর্ক আছে। চলতি বছর নির্বাচনের বছর। এই বছর আমাদের চোখ-কান খোলা থাকবে। দুদকের কাজে আরো গতিশীলতা আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
দুর্নীতি নির্মূলে সমস্ত প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক। গতকাল মঙ্গলবার ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে দুদক ক?মিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজা?ম্মেল হক খান ও কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক এবং দুদক স?চিব মো. মাহবুব হো?সেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনের বছরে সব প্রার্থীর হলফনামায় জমা দেয়া সম্পদ বিবরণী দুদক খতিয়ে দেখবে উল্লেখ করে মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ জিরো টলারেন্স দেখাব। দুর্নীতির সূত্র পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ফাঁদ মামলা কেন কমেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি, সেই অনুসারে ফাঁদ মামলা হয়েছে। আমরা শতভাগ সফল হতে পারিনি। বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় গত বছর সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের করেছি। ওই বছর এফআরটি (চূড়ান্ত প্রতিবেদন) কম হয়েছে। সাজার হারও বেড়েছে। আমাদের তথ্য কথা বলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, দেশের টাকা বাইরে চলে গেছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো কাজ করতে পারেনি দুদক। পাচারকৃত অর্থ নিয়ে আরো অনেকগুলো সংস্থা কাজ করে। শুধু দুদকের একার কাজ নয় এটি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি টাকা ফিরিয়ে আনার। পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের মাত্র একটি অপরাধের এখতিয়ার আছে।
বাকি ২৬টি অপরাধের বিষয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার। কিন্তু জনগণের মনে এখনো ভ্রান্ত ধারণা- দুদক কী কাজ করে। অথচ আমাদের অংশে আমরা কাজ করি ও শতভাগ সাফল্য রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের এক পর্যবেক্ষণের সূত্র ধরে দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, দেশে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি বাড়েনি, বরং কমেছে। তবে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি বন্ধ করতে পারিনি।
মামলা পরিচালনা ক্ষমতা কমেছে এটা মিথ্যা কথা। কারণ মানিলন্ডারিং মামলায় ১০০ ভাগ সাফল্য, অন্যান্য মামলায় সাজার পরিমাণ ৬৭ থেকে ৭০ ভাগ আমাদের পক্ষে। আমাদের সক্ষমতা কমেছে, এ কথা আমি বিশ্বাস করি না।
দুদকের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- গত বছরে দুদকে জমা পড়ে ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগ। এসব যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটি হাতে নিয়েছে মাত্র ৯০১টি অভিযোগ, যা মোট অভিযোগের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ অভিযোগই অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিতে পারেনি দুদক।
১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ১৫২টি অভিযোগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালে চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে ২২৪টি, মামলা হয়েছে ৪০৬টি, ফাঁদ মামলা হয়েছে মাত্র ৪টি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়