ইন্ডিয়ান হায়ার এডুকেশন মিট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ভোরের কাগজ, এনজিও ফোরাম ও বাউইনের সেমিনারে বক্তারা : এসডিজি ৬ অর্জনে কার্যক্রম বেগবান করার তাগিদ

পরের সংবাদ

গ্র্যাজুয়েট সনদ আনতে গিয়ে প্রাণ খোয়ালেন মেধাবী মিমি

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : জীবনের বড় অর্জন গ্র্যাজুয়েট সনদ আনতে গিয়ে মৃত্যুর সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আফসানা মিমি। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিমির লাশ নিতে এসে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। একই দুর্ঘটনায় মিমির মতো আরো কয়েকজনের অকাল মৃত্যুতে পুরো হাসপাতালে নেমে আসে শোকের ছায়া। গতকাল রবিবার ওই হাসপাতালে গেলে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্যের দেখা মেলে।
জানা গেছে, মিমির বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তবে ছেলেবেলায়ই বাবাকে হারান মিমি। এরপর মা কানিজ ফাতেমা অনেক কষ্ট করে দুই মেয়ে মিমি ও রুপাকে মানুষ করেন। এসএসসি ও এইসএসসিতে জিপিএ-৫ পান মিমি। এরপর ভর্তি হন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে অনার্সে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০২২ সালে মাস্টার্সেও প্রথম স্থান অর্জন করেন মিমি। গতকাল রবিবার গ্র্যাজুয়েট পাসের সনদপত্র আনতে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন মিমি। এদিন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু ল কলেজের সামনে থেকে ইমাদ পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাসে উঠেন তিনি। আদরের ছোট বোন আর তার মা তাকে বাসে উঠিয়ে দেন। তবে পথিমধ্যে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাসটির চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে মিমিও ঘটনাস্থলেই মারা যান। রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ জনে।
নিহত মিমির বোন রুপা বলেন, ‘আল্লাহ এটা কি করল? আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ বোনকে এভাবে কেড়ে নিল। এখন আমি আমার মাকে কি জবাব দেব। আল্লাহ আমার বোনকে ফিরিয়ে দিন।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়