শেয়ারট্রিপ : অনলাইনে তারিখ পরিবর্তন ও রিফান্ড সেবা চালু

আগের সংবাদ

চিকিৎসা ব্যয়ে পিষ্ট রোগীরা : চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি ব্যয় ওষুধ কিনতে- ৬৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেই আগামীর উন্নত বাংলাদেশ : অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল বঙ্গবন্ধুর অন্যতম স্বপ্ন। তারই নেতৃত্বে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্নের প্রধান স্বপ্ন বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে বাঙালিকে মর্যাদা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং কুসংস্কারমুক্তি, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। সেই লক্ষ্য অর্জনে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ব্যস্ত ছিলেন। পুনর্বাসন কাজ সম্পন্ন করে দ্বিতীয় স্বপ্নে হাত দিয়েছিলেন। মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা পূরণে ব্রতী হয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, পঁচাত্তরের পনের আগস্ট অত্যন্ত নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যে কারণে দ্বিতীয় স্বপ্নপূরণ বিলম্বিত হয়। যদিও তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছিল।
বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তিনবারের শাসনামলে দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আগামী ২০২৬ যালে যা চূড়ান্ত রূপ লাভ করবে। বঙ্গবন্ধু যদি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার না হতেন, তাহলে বহু আগেই দেশ উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতো। ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অশিক্ষামুক্ত বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা হতো। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধকালীন জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল সেই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলছেন। যদিও পদে পদে তাকে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবুও তিনি লক্ষ্যে অবিচল।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত দেশ। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে সব সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে চলছে বাংলাদেশ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ হয়েছে। আজকের যে উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি সবই ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্মপরিকল্পনা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। ৬০ লাখ গৃহহীন মানুষকে ইতোমধ্যেই পাকা বাড়ি দেয়া হয়েছে।
তবে এটি ঠিক বঙ্গবন্ধু সমাজে সাম্য চেয়েছেন, ধনী-দরিদ্র্যের বৈষম্যের অবসান চেয়েছেন। ঘুষ-দুর্নীতির মূল উৎপাটন করা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা এই স্বপ্নগুলো অর্জন করতে পারিনি। সমাজে এখনো ঘুষ-দুর্নীতি চলছে। মানিলন্ডারিং হচ্ছে। বিত্তশালীরা আরো বিত্তবান হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এসব আমরা সবাই জানি।
তবে গ্রামগুলোতে আজ শহরের ছোঁয়া লেগেছে। দারিদ্র্যের হার কমেছে। কিন্তু বিত্তবান ও বিত্তহীনদের আয়ের ক্ষেত্রে ব্যবধান বেড়েছে যা বঙ্গবন্ধুর কাম্য ছিল না। এদিকে আমাদের আরো দৃষ্টি দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়