এবার ডিএনসিসির গাড়িচাপায় বাইক চালকের মৃত্যু : মেশিনে পেঁচিয়ে নিহত ১

আগের সংবাদ

আতঙ্কের বসতি পুরান ঢাকা : কেমিক্যাল গোডাউন না সরায় ক্ষোভ, নিমতলীর ১৭ দফা বাস্তবায়ন জরুরি

পরের সংবাদ

শপথ নিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির মানিক সাহা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হলেন। আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে গতকাল বুধবার আয়োজিত এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
এদিন মন্ত্রিসভার আরো ৮ সদস্যও শপথ নেন। তারা হলেন- রতনলাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহরায়, সান্ত¡না চাকমা, সুশান্ত চৌধুরী, টিংকু রায়, বিকাশ দেববর্মা, শুধাংশু দেব এবং শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া। এর মধ্যে ৫ জন নতুন মুখ। গত সোমবার সন্ধ্যায় মানিক সাহা ত্রিপুরার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যের সঙ্গে দেখা করেন এবং সরকার গঠনের দাবি জানান।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তথা উত্তর-পূর্বে গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান হিমন্ত বিশ্বশর্মা গত রবিবার ত্রিপুরায় গিয়ে মানিক সাহা এবং শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখনই ত্রিপুরার মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। দলীয় সূত্রে খবর, হিমন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেন। তারপরই মানিকের নামে সিলমোহর পড়ে। তবে মানিকের এবারের লড়াইটা আরো কঠিন ছিল। দলের মধ্যেই সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের নাম উঠে আসছিল মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য। তিনিও ভোটে জিতেছেন। কিন্তু মানিকের ওপরই ভরসা রেখেছে হাইকমান্ড।
বিজেপির ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির জেরে বিপ্লব কুমার দেবকে যখন ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি পদ থেকে ২০২০ সালে সরিয়ে দেয়া হয়, সেই জায়গায় বসেন মানিক। এরপর বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে গত বছর রাজ্যসভায় পাঠানোর পর মুখ্যমন্ত্রীর পদেও বসেন মানিক। বছর দুয়েক ধরে রাজ্যে ড্যামেজ কন্ট্রোলের প্রধান ব্যক্তি হয়ে ওঠেন মানিক। তাই বিধানসভা নির্বাচনের ১০ মাস আগে মানিককে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসানোর ঝুঁঁকি নেয় দল।
ফেব্রুয়ারির বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে

ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ৩২টি আসনে জিতেছে। তিপ্রা মোথা পার্টি ১৩টি আসন জিতে বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) ১১টি এবং কংগ্রেস ৩টি আসন পেয়েছে। ২০১৮ সালের আগে ত্রিপুরায় কোনো বিধানসভা আসন জেতেনি বিজেপি। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম জমানায় ইতি টেনে গেরুয়া শাসন শুরু হয়। তবে তাল কাটে মাঝপথে। এই আবহে ২০২২ সালে সেই রাজ্যের পুরভোটের পর প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া থেকে গদি বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী বদল করে বিজেপি। বিপ্লব দেবের স্থানে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ডা. মানিক সাহাকে। সেই মানিকের নেতৃত্বেই বাম নেতা মানিক সরকার এবং তিপ্রা মোথার প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার চ্যালেঞ্জ সামলে জয় পায় বিজেপি। এর মাঝেও মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। কারণ এবারের নির্বাচনে লড়েছিলেন প্রতিমা ভৌমিক। বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তিনি। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকারের আগের আসন থেকে জয়ী হন প্রতিমা। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে অবশেষে মানিকেই ভরসা রাখে বিজেপি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়