উগ্র মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি

আগের সংবাদ

গৃহায়ণ ও রাজউকের ১১ উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে

পরের সংবাদ

দিনে চলাচলের পরামর্শ : রাতে বা ভোরের দিকে অনিরাপদ ঢাকা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগরের সব জায়গাতেই পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাই অরক্ষিত থেকে যায়। আর এসব অরক্ষিত জায়গাগুলোকে রাত কিংবা ভোরের দিকে অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটানোর জন্য বেছে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। যেহেতু রাতে বা ভোরের দিকে ঢাকা অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে। তাই এ সময় চলাচল পরিহার করে দিনের আলোয় চলাফেরা করার পরামর্শ থাকবে। যদিও এ সময়ে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে নজরদারি করা হচ্ছে।
রাজধানীতে অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। গতকাল রবিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহর ২৪ ঘণ্টাই কর্মব্যস্ত থাকে। দিনের বেলায় যেমন অফিস পাড়া ব্যস্ত থাকে, তেমনি রাতে ঢাকায় ব্যাপক হারে ট্রাক প্রবেশ করে। কাঁচা বাজারে বিভিন্ন পণ্য যারা বিক্রি করে সেখানে অপরাধীরা সক্রিয় থাকে। এছাড়া অনেক যাত্রী রাতের বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে বাইরে থেকে ঢাকায় আসে। তাদের গভীর রাতে চলাচল করতে হয়। তখনো অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, অপরাধটা যারাই করে আমাদের প্রথম কাজটি হলো ঘটনা ও অপরাধীকে চিহ্নিত করা। আমরা একটা তালিকা তৈরি করছি। এদের সবসময় নজরদারিতে রাখলে অপরাধ কমে যায়। চুরি বলেন আর ছিনতাই- তাদের ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার করতে পারলে অপরাধ কমে। গ্রেপ্তারকৃতরা যখন বেরিয়ে আসে তখন আবার ঘটনা বেড়ে যায়। অপরাধের যে প্রক্রিয়া সেটি শুধু পুলিশিং দিয়েই একদম নির্মূল করা বিশ্বের কোথাও দৃষ্টান্ত নেই। কারাগারে গিয়ে সংশোধন বা অন্য কোনো পেশায় যাবে সেটাও হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে যদি আমরা উন্নয়নের দিকে আরো অগ্রসর হতে পারি ও তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পেশা পরিবর্তন করে দেয়া যায় তাহলে অপরাধটা কমিয়ে আনতে পারব।
গত সপ্তাহে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হত্যা প্রসঙ্গে ডিএমপির এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় এরইমধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কাদের সংশ্লিষ্ট রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে জানা যাবে, আসল ঘটনাটা কী। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে। ঢাকার আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সিটিটিসি এটা নিয়ে তদন্ত করছে। তারা বিষয়টির অগ্রগতির বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়