আরো এক মামলায় রফিকুল মাদানীর বিচার শুরু

আগের সংবাদ

নাশকতার শঙ্কায় সতর্ক আ.লীগ : ষড়যন্ত্র ঠেকাতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ ক্ষমতাসীন দলের, ‘পাল্টা কর্মসূচি’তে অস্বস্তি বিএনপির

পরের সংবাদ

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী : নিজে কী পেল তা নিয়ে ভাবে না আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের জন্য কাজ করে তার দল কী পেল তা নিয়ে কখনই ভাবে না, বরং জনগণের কল্যাণে তারা কী করতে পারে তাই বিবেচনা করে। তিনি আরো বলেন, আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলাম। এই ক্লিনিকগুলো থেকে যারা চিকিৎসা সেবা নেবেন তারা সবাই আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবেন, এই ভয়ে সেই ক্লিনিকগুলো বিএনপি-জামায়াত সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদর দপ্তর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আওয়ামী লীগের এই কার্যালয় উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের ১৩টি জেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরো ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন করেন। যার মাধ্যমে এই সংখ্যা ১৩৫-এ উন্নীত হয়েছে। ফলে এক-তৃতীয়াংশ তৃণমূল মানুষকে বিনামূল্যে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য কী করতে পারলাম তা বিবেচনায় আমরা গত ১৪ বছরে জনগণের ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন করেছি। দীর্ঘ ২১ বছর পর ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দলমত নির্বিশেষে সবার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সারাদেশে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করি। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তা বন্ধ করে দেয়। তাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট ছিল। তারা বলেছিল, এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালু থাকলে এখান থেকে যারা চিকিৎসাসেবা নেবে তারা সবাই আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে। তারা ভোট পাবে না, সেই ভয়ে এগুলো বন্ধ করে দেয়। কি অদ্ভুত চিন্তা! আপনারা একটু বিবেচনা করেন! আমরা কিন্তু সেগুলো চিন্তা করিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের ক্ষেত্রে সবাই চিকিৎসা পাবে। যে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে সেও যেমন চিকিৎসা পাবে, যে দেবে না সেও পাবে। কারণ, এটা আমি জনগণের জন্য করেছি। আর জনগণের জন্য যে সেবা সেটা জনগণের হাতে পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে গড়ে ওঠা ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মানুষ চিকিৎসাসেবাসহ ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমলে চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৮ হাজার, বর্তমানে তা ৬৭ হাজারে উন্নীত করেছে। আমরা ২২ হাজার চিকিৎসক ও ৪০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, বিভিন্ন আধুনিক হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিশু হাসপাতালগুলোকে উন্নতকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবাকে যুগোপযোগী করে দিচ্ছি। এই শিশু হাসপাতাল আমাদের প্রত্যেকটা বিভাগে করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি বা বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালগুলোতে শিশুদের বিশেষ যতœ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সেক্ষেত্রে বেসরকারি পর্যায়েও যেন হাসপাতাল গড়ে ওঠে। এ জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর থেকেও আমরা ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। ফলে বেসরকারি খাতেও অনেক উন্নতমানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি খাতে নার্সেস ইনস্টিটিউট গড়ে উঠছে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে। আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রাপ্তিরও উপলক্ষ ঘটছে।
বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার আমরা স্থাপন করছি। একটা বেজ হাসপাতাল রেখে সেখান থেকে এসব সেন্টারে টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই এই সুযোগ আমরা তৈরি করতে পেরেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়