‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ছুটি সংক্রান্ত আইন পাস > বিচারক নিয়োগে আইন করছে সরকার : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সরকার আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর বিশেষ ভাতা ২০২১ সালের মে মাস থেকে কার্যকর করার বিধান রেখে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন ২০২৩’ বিল পাসের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড, শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ২১তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।
বিলটি পাসের আলোচনায় জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান ও ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে আইন করার কথা ছিলো। কিন্তু হয়নি। প্রসিকিউশন নিয়োগেও আইন করার কথা ছিল সেটাও হয়নি। আশা করি আইনমন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী একজন সাবেক প্রধান বিচাপতিকে সুবিধা দিতে বিলের ২৪নং ধারা ‘প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর বিশেষ ভাতার বিধান’টি ২০২১ সালের মে মাস থেকে কার্যকরের বিষয়ে বারবার আপত্তি উত্থাপন করেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আপত্তিটি আমলে নিয়ে বলেন, কোন আইনকে বা আইনের ধারাকে ‘রেক্টোসপেক্টিভ ইফেক্ট’ দেয়ার ক্ষমতা সংসদের রয়েছে।
এরপর বিলটির উপর বক্তব্যের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচার নিয়োগের ব্যাপারে সংসদ সদস্যরা আইন করার কথা বলেছেন। তাদের আশ্বস্ত করতে পারি এই আইনটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছু দিনের মধ্যে সংসদে আনতে পারবো। এছাড়া তারা ইন্ডিপেন্ডন্ট প্রসিকিউশন নিয়োগ আইনের কথা বলেছেন, সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ আইনটিও এই সংসদ চলাকালে দেখতে পাবেন। প্রসঙ্গত, ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন এন্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ রহিত করে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলায় বিলটি পুন:প্রণয়ন করা হয়েছে। বিলে অবসর গ্রহণকারী বিচারকদের জন্য উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির জীবদ্দশায় গৃহসহায়ক, গাড়িচালক, দারোয়ান, সাচিবিক সহায়তা, অফিস-কাম-রেসিডেন্সের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা অবসরোত্তর বিশেষ ভাতা পাবেন। কোনো বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকলে মাসিক বেতনের সমহারে এবং অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে থাকাকলে মাসিক বেতনের অর্ধেক হারে ছুটিকালীন বেতন পাবেন। পূর্ণ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটি, অর্ধ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটির দ্বিগুণ হিসেবে গণনা করা হবে। তবে অর্ধ গড় বেতনে প্রাপ্য ছুটির হিসাব সংরক্ষিত থাকতে হবে। কোনো বিচারক তার মোট কর্মকালীন ছুটির শর্তানুযায়ী অর্ধ গড় বেতনে ৩৬ মাস ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া পূর্ণ গড় বেতনের ছুটি একালীন পাঁচ মাস এবং অন্য কোনো ছুটি ১৬ মাসের অধিক হবে না। বিচারকদের পূর্ণ বছরের জন্য অতিরিক্তি পেনশন হিসেবে মাসিক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হবে।
বিলে অবসরের পর বিচারকরা যে পরিমাণ গ্রস-পেনশন প্রাপ্য হবেন, তার অর্ধেক বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পণের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো বিচারক

স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণ করলে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া কোনো বিচারক অনুমোদিত ছুটি বা অবকাশের অতিরিক্ত অনুপস্থিতিকালের জন্য কোনো বেতন প্রাপ্য হবেন না। ছুটি মঞ্জুরের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংরক্ষিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়