ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রুমানা জামান : ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ নিয়ে রাজপথে সরব বিএনপি। এর মধ্যে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত’ কথাটি বেশ চমকপ্রদ। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যেও খানিকটা কৌতূহল জাগিয়েছে। তবে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত কবে এবং কোন ফর্মুলায় শুরু হবে? বিএনপির মতো দলের পক্ষে রাষ্ট্র মেরামত আদৌ সম্ভব কিনা- এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে। এই প্রেক্ষাপটে দলটির নেতারা জানালেন- রূপরেখার ২৭ দফা নিয়ে ঘষামাজার কাজ চলছে। দেশব্যাপী সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সমাজের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিদের মতামত ও পরামর্শ টুকে রাখা হচ্ছে। এসব কাজ শেষ হলেই ২৭ দফা নিয়ে আবারো বসবেন বিএনপির দায়িত্বশীলরা। আলাপ-আলোচনার পর এই রূপরেখাই সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে রূপান্তরিত হবে দলের নির্বাচনী ইশতেহারে।
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের ভাষ্য- আওয়ামী লীগ গত এক দশকে যে ‘রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট’ তৈরি করেছে তা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের এখন ‘মেরামত’ প্রয়োজন। আর এই গুরুদায়িত্ব পালন করতেই গত ১৯ ডিসেম্বর ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত’ শীর্ষক ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। রূপরেখায় সংবিধান সংশোধন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনাসহ এই দুই পদে পরপর দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না- এমন ঘোষণাও রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে রেইনবো নেশন প্রতিষ্ঠার কথা। এই রূপরেখা বাস্তবায়ন হলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের অনেক বিধিব্যবস্থা পুরোটা পাল্টে যাবে।
জানতে চাইলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়; রাষ্ট্রকাঠামোতেও পরিবর্তন চায়। তাই তো রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামতের যে ২৭ দফা রূপরেখা তা নিঃসন্দেহে দেশের রাজনীতিতে আস্থা তৈরিতে রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, জনগণ জানতে চাইছে বর্তমান সরকার চলে গেলে কী হবে? সেজন্যই আমরা ২৭ দফা রূপরেখা

দিয়েছি। ২৭ দফা নিয়ে আমরা দেশের মানুষের কাছে যাচ্ছি। কারণ ২৭ দফার প্রয়োজনীয়তা তাদের বোঝাতে হবে। এছাড়া অন্যদের পক্ষ থেকে আরো কোনো প্রস্তাব এলে সেটি যুক্ত হবে এই রূপরেখায়। সবার মতের ভিত্তিতে এই রূপরেখার মাধ্যমেই আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।
রূপরেখা নিয়ে জনগণের দ্বারে বিএনপি : রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন বিএনপির এমন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘোষিত ২৭ দফা রূপরেখা ও ১০ দফা কর্মসূচি প্রচার ও জনমত গঠনের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে সফর শেষ করেছেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। কেন্দ্রীয়ভাবে বিশেষ শিডিউল তৈরি করে ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা ও মহানগরে চষে বেড়িয়েছেন নেতারা। ২৭ দফা নিয়ে জনসংযোগের পুরোটাই সমন্বয় করছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর। কেন্দ্র থেকে ১০ দফা দাবি ও রূপরেখার ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ব্যবস্থা ও বিশ্লেষণ’ শিরোনামে কিছু লিফলেট ও বুকলেট জেলা ও মহানগরে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে তা পুনর্মুদ্রণ করার কথা বলা হয়েছে। এমনকি রূপরেখার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যেন গ্রহণযোগ্যভাবে জণগণের কাছে তুলে ধরা যায় এ লক্ষ্যে জেলা ও মহানগরের নেতাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
বিএনপি নেতাদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে এসব লিফলেট ও বুকলেটের বিষয়ে সব পরামর্শ নোট করে রাখা হচ্ছে, যা পরে সংযুক্ত করা হবে নির্বাচনী ইশতেহারে।
জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ভোরের কাগজকে বলেন, বিএনপি ঘোষিত গণআন্দোলনের ১০ দফা এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা নিয়ে দেশব্যাপী জনমত গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে সাংগঠনিক সম্পাদক ও কয়েকজন সম্পাদককে রূপরেখার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা চলে গিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ে। সারাদেশের জেলা ও মহানগরে যারা কেন্দ্রীয় দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কাছে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণগুলো তুলে ধরছি। সেখান থেকে তারা কোনো প্রশ্ন করলে তার জবাব দিচ্ছি।
প্রিন্স বলেন, জেলা-মহানগরের নেতারা আবার ১১ জানুয়ারির পর থেকে উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেবেন। এর পাশাপাশি এই ১০ দফা নিয়ে আমরা লিফলেট, বুকলেট ছাপিয়ে এর নমুনা প্রতিটি জেলা-মহানগরে পাঠিয়েছি। সেখানকার নেতারা এগুলো রিপ্রিন্ট করে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষিবিদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসকসহ পেশাজীবী সমাজের সদস্য, ধর্মীয় নেতা, সাংস্কৃতিক কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, অপরাপর রাজনৈতিক দলসহ সবার মধ্যে বিতরণ করে তাদের মতামত ও পরামর্শ নেবেন। সব বিষয়ে আলাদা করে নোট রাখা হবে। পরবর্তীতে বিএনপি যদি সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনে যায়- তখন এই সংযোজিত ২৭ দফাই নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সবাই বলছে রাষ্ট্র মেরামতের উদ্যোগ বিএনপির সাহসী পদক্ষেপ।
ইতিবাচক হলেও বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা ও দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ এর আলোকে এটি তৈরি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এ রূপরেখায় খুব বেশি নতুনত্ব নেই। তবে ভিশন-২০৩০ এর চেয়ে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ কথাটি জনপ্রিয়তা পাবে জনগণের কাছে- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দিহান ও কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও রূপরেখায় অনেকগুলো ভালো দিক আছে বলে মনে করেন তারা। এর মধ্যে অন্যতম হলো- পরপর দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটি বেশ ইতিবাচক।
এছাড়া রাষ্ট্র মেরামতের প্রস্তাবে বিএনপি যে ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’ স্লোগানটি সংযুক্ত করেছে এবং দেশের ভূখণ্ডে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে অঙ্গীকার করেছে- সেটি তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বিএনপি যদি এ রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ক্ষমতায় থেকে দিত, সেটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হতো। এখন সমালোচকরা একে ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল হিসেবেও দেখতে চাইবেন।
জানতে চাইলে রাজনীতি ও সংবিধান বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ ভোরের কাগজকে বলেন, বিএনপি ঘোষিত রূপরেখা মূলত খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ থেকে নেয়া। এগুলোর বাস্তবায়ন যদি নিশ্চিত করা যায় এবং জনগণ সহায়তা করে তবে রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, বিএনপি যেটা করতে যাচ্ছে সেটা অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে এর মাধ্যমে জনগণ কতটা সহায়তা পাবে তা নির্ভর করে বিএনপি এই রূপরেখা বাস্তবায়নে কতটা আন্তরিক তার ওপর। যদিও আওয়ামী লীগ এই রূপরেখা নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করছে, তবে আমরা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামতের এমন রূপরেখা প্রত্যাশা করি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি ২৭ দফা করেছে, ভালো কথা। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটা ‘হাফ হার্টেড’। এ নিয়ে তাদের আরো বেশি কাজ করার দরকার আছে। তিনি বলেন, পুলিশি বাধায় আমরা কথা বলতে পারি না। পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। পুলিশ অনুমতি দেয়ার কে? মিছিল সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না- এটিও দফাতে উল্লেখ রাখতে হবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে। আপামর জনসাধারণের দাবিগুলো এই রূপরেখায় তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা দেশের অসহায় মানুষের মুক্তির সনদ।
টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনী প্রতিশ্রæতির পর ক্ষমতায় গিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন না করা এবং বিশ্বাসভঙ্গের নজির প্রবল। তাই বিএনপির ২৭ দফা কতটা পরিপক্ব, আন্তরিক এবং মূল্যবোধভিত্তিক- তার সমালোচনামূলক পর্যালোচনা জরুরি। জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম দফা ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন। এখানে গণভোটব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের উল্লেখ আছে। এটা কতটা করতে পারবে দলটি সেটাও দেখার বিষয়।
প্রতিশ্রতির সঙ্গে মানসিকতার সমন্বয় : ২৭ দফার রূপরেখা বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে চায় বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন- দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে চাউর আছে, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিশ্রæতির উল্টোটা করে। এই জায়গা থেকে নেতাকর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি। এক্ষেত্রে রূপরেখায় দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না বলে জোর দেয়া হয়েছে। প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও স¤প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে। ক্ষমতায় গিয়ে রূপরেখা বাস্তবায়নকালে নেতাকর্মীদের বাধার মুখেও পড়তে হতে পারে সরকারকে। তখন নেতাকর্মীরা এও বলতে পারেন, গত ১৫ বছর ধরে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এখন কীসের সততা? এ বিষয়গুলো এড়াতে বিএনপি এখন থেকেই কাজ করবে। এক্ষেত্রে দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতৃত্ব নির্বাচনে সততা ও যোগ্যতার বিষয়টিতে বিশেষভাবে নজর দেয়া হবে। তাই ২৭ দফা বাস্তবায়ন করতে গেলে সৎ ও নিবেদিত রাজনৈতিক কর্মীর প্রয়োজন হবে এবং সুবিধাভোগীরা ঝরে পড়বে বলে প্রত্যাশা নেতাদের।
রূপরেখা পর্যবেক্ষণ করবেন ‘যুগপৎ’ নেতারা : বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপির মতো দল এই ধরনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে, এটা তো ভালো। তাদের রূপরেখায় আমরা একটা গুণগত পরিবর্তনের চেষ্টা দেখছি। তারপরও রূপরেখার ভেতরে কী আছে সেটি নিয়ে আলোচনা করব।
গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাসনব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক রূপান্তরের কথা আমরা বলে আসছি। বিএনপি যখন আমাদের সঙ্গে সংলাপ করতে এসেছিল তখনো আমরা এসব কথা বলেছি। এখন বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব এসেছে। আমরা ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছি এটিকে। তবে, আমরা এসব প্রস্তাব আরো সুনির্দিষ্টভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়