‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে তাকসিমের ১৪ বাড়ি! অভিযোগ যাচাই করতে পারে দুদক : হাইকোর্ট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন উচ্চ আদালতের নজরে এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেয়ার আর্জি জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, রুল দেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। কেননা প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে- দুজন ব্যক্তি দুদকে অভিযোগ করেছেন। সংস্থাটি অভিযোগ যাচাইবাছাই করে দেখতে পারে। কারণ দুদকেই অভিযোগ রয়েছে। যাচাইবাছাই প্রতিবেদনে কী আসে দেখেন। একপর্যায়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে জানানোর কথা বলেন। তখন আদালত বলেন, প্রয়োজন মনে করলে জানাতে পারেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে গতকাল প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়- ‘একটি-দুটি নয়, ১৪ বাড়ি! দেশে নয়, সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে কিনেছেন এসব বাড়ি। সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়-

‘যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি কেনা এবং অর্থ পাচারকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় তাকসিম খানের নাম থাকা নিয়ে স¤প্রতি দুটি অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। অভিযোগে কিছু বাড়ির সুনির্দিষ্ট ঠিকানা, ছবি, কোন বাড়ি কখন, কত টাকায় কেনা- তা উল্লেখ করা হয়েছে। তাকসিম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) ‘গভর্নমেন্ট ওয়াচ নোটিস’ এর একটি কপি অভিযোগের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে। সিআইএসহ যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস (ডিওজে), ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), দেশটির অন্যান্য সংস্থা ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) তাকসিম এ খানের বিষয়ে কাজ করছে বলে ওই নোটিসে উল্লেখ করা হয়।’
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিভিন্ন সময় তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলেও সেটা খুব একটা আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঘুষ লেনদেন, প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, ঠিকাদার নিয়োগে সিন্ডিকেট, পদ সৃষ্টি করে পছন্দের লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অপছন্দের লোককে ওএসডি করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে। কিন্তু তারপরও প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ৬ বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়