‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ নয় ইংল্যান্ডে খেলতে আগ্রহী রবিন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সুবাদে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের খেলা উপভোগ করার সুযোগ পায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের দেখতে মুখিয়ে থাকেন ভক্তরা। এবার বিপিএলে খেলতে এসে সবাইকে চমকে দিয়েছেন এক বিদেশি ক্রিকেটার। ঢাকা ডমিনেটর্সে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার রবিন দাস। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে পা রেখেছেন এসেক্সের ক্রিকেটার। তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সবকিছুই লন্ডনের মাটিতে। তবে রবিনের বাবা একজন বাংলাদেশি, বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জে। ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠার কারণে রবিন ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছেন সেখানেই। কাউন্টি ক্রিকেটের পাশাপাশি রবিন দাস খেলেছেন ইংল্যান্ডের জার্সি গায়েও। ইংলিশদের হয়ে অবশ্য এখন পর্যন্ত অভিষেক হয়নি রবিনের, কিন্তু বদলি ফিল্ডার হিসেবে একবার ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। গতকাল মিরপুরে একাডেমি মাঠে দলীয় অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন রবিন। সেখানে তিনি ক্রিকেট নিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন। এদিকে রবিনের জন্ম ইংল্যান্ডের লেটনস্টোনে। ইংল্যান্ডে ব্রেন্টউড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন রবিন।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেন এসেক্সের হয়ে। এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রবিন। রান করেছেন কেবল ৪৫। তবে ২০১৮ সালে এসেক্সের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে দুইশ করেছিলেন এই বাঙালি। এসেক্স দ্বিতীয় একাদশের হয়েও খেলেছেন তিনি।
রবিনের বাবা মৃদুল দাসের জন্ম সুনামগঞ্জ জেলায়। রবিনের জন্মের অনেক আগেই তার বাবা ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। বাবার মুখে বাংলাদেশের কথা শুনেছেন। কিন্তু শেকড়ে কখনো আসার সুযোগ হয়নি। ঢাকার হয়ে পুরো মৌসুমে পাওয়া যাবে রবিনকে। দলের সঙ্গে সিলেটেও যাবেন। সেখানে বাবার পরিবারের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা আছে তার। রবিন বলেন, বাংলাদেশে এসে আমি অনেক বেশি রোমাঞ্চিত। এটা আমার বাবার দেশ। তিনি আমাকে বাংলাদেশের বাড়ির কথা বলতেন। তিনি খুবই খুশি যে আমি এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছি। আমার আত্মীয়রা সবাই খুব খুশি। শুধু আমার পরিবারের সদস্যরাই নয়, আমার এখানকার আত্মীয়রাও খুব খুশি। তারা আমাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিল। আমাকে বাংলাদেশে দেখে খুবই খুশি হয়েছে। আশা করছি খেলতেও দেখবে। আমি আমার আত্মীয়দের দেখতে যাব। আমার বাবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করব।
সিলেটে গিয়ে আমার বাবার জেলায় খেলতে পারা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার হবে। আমি ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলতে চাই। সেখানে আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ আছে। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি। লর্ডসের মতো মাঠে টেস্ট আবহের মধ্যে থাকতে পারা দারুণ। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কিছু বিষয় শিখেছি। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। এখন আমার স্বপ্ন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা।
তবে আমি ভবিষ্যতের জন্য কোনো দরজাই বন্ধ করতে চাই না। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাই স্বপ্ন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়