‘রেজা বাহিনী’ থেকে রেহাই চান হোটেল ব্যবসায়ী

আগের সংবাদ

২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার : বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ ঘষামাজার কাজ চলছে > নেয়া হবে সব স্তরের মানুষের মত

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যমন্ত্রী : সিনেমা শিল্পের সুদিন ফিরেছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংকটের মধ্য দিয়ে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বন্ধ হল নতুন করে চালু হয়েছে। নতুন নতুন সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কিনছে। সিনেমা শিল্পের সুদিন ফিরে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনে ‘বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসব’ এর আয়োজন করেছে বাচসাস। গতকাল সোমবার বিকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে উৎসবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তিনটি ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্রসহ মোট চারটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলো হলো- ‘চিরঞ্জীব মুজিব’, ‘গেরিলা’, ‘শ্যামল ছায়া’ ও ‘মেঘের পরে মেঘ’। উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন। উৎসবে সভাপতিত্ব করেন বাচসাসের সভাপতি রাজু আলীম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাচসাসের সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাচসাস এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সহসভাপতি অঞ্জন রহমান, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস। নির্বাহী সদস্য মাইনুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আমিনুর ইসলাম লিটন, রাশেদ আনিস প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের যাত্রা। প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসব’ এর আয়োজন করেছে বাচসাস। এই ঐতিহ্যেবাহী সংগঠনটি চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাচসাসের বর্তমান কমিটির সকল নেতাকর্মী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এমন সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য বাচসাসকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। এটি পূর্ণতা পায় ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এসে পরিবারের কাছে প্রথমে যাননি। তিনি গেছেন জনতার কাছে। এরপর গেছেন পরিবারের কাছে।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ১৯৭১ সালের সাতই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বঙ্গবন্ধুর এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বাঙালি জাতি স্বাধীনতার স্বাদ পায়। যার কারণে জাতির জীবনে ১০ জানুয়ারি অনেক তাৎপর্য বহন করে। বিএফডিসি প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধু এ দেশের চলচ্চিত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বলেই আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প এতটা সমৃদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে চলচ্চিত্র উৎসবের

আয়োজন করাতে বাচসাসকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এই আয়োজনে রাজু আলীম পরিচালিত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিতব্য ‘পিতার ছবি’ চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়