কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

নানা আবদার : কাশিমপুর জেলে বন্দি জঙ্গিদের হট্টগোল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পছন্দমতো চলাচল করতে না পেরে এবং সুবিধা না পেয়ে বিক্ষোভ ও হট্টগোল করেছে দুর্ধর্ষ জঙ্গিরা। কারাগারের ভেতরে বসেই নানা সুবিধা আদায়ের জন্য বিদ্রোহ করেন তারা। সাধারণ বন্দিদের মতো হাঁটাচলা, শীতবস্ত্র প্রদানসহ নানা দাবিতে প্রায় শতাধিক বন্দি গতকাল শনিবার অনশন করেন। এক পর্যায়ে তারা কারাগারের ভেতরে শতাব্দী ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বিক্ষোভ করেন।
কাশিমপুর কারাগারের একাধিক কর্মকর্তা গতকাল রাতে জানান, কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। বন্দিদের জন্য সরবরাহ করা কম্বল শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট নয়- এমন দাবি করে বন্দিদের মধ্যে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের দাবি, হাই সিকিউরিটি কারাগারের বন্দিরা শীতের শুরু থেকেই শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট করছেন। বন্দিদের প্রচণ্ড শীতেও অতিরিক্ত কম্বল, শীতের কাপড় দেয়া হয়নি। কক্ষের দরজা জানালায় স্বচ্ছ পলিথিন লাগানোর নিয়ম থাকলেও তা দেয়া হয়নি। ফলে প্রতিটি কক্ষ ফ্রিজের মতো ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। এছাড়া কারা কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ না করায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ হচ্ছে। এসব কারণে অসুখ হলেও ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না বন্দিরা।
একাধিক বন্দির স্বজনরা জানিয়েছেন, কারাগারে ভেতরে হাঁটার মতো জায়গা থাকলেও বন্দিদের ছোট্ট জায়গায় আটকে রাখা হচ্ছে। হাঁটাহাঁটির অনুমতি না দেয়ায়ও শরীরে রোগের বাসা বাঁধছে। ১৫ দিন পরপর বন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম থাকলেও ১ মাস পরে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন এবং আদালতে যাওয়ার সময় নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজও সঙ্গে নিতে দেয়া হয় না। এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য বন্দিরা অনশন ও বিক্ষোভ করেন।
এ প্রসঙ্গে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গতকাল সন্ধ্যায় ভোরের কাগজকে বলেন, চিহ্নিত জঙ্গিরা সারাদিন ভেতরে হাঁটাহাঁটি করার সুযোগ চান। বাইরে থেকে স্বজনদের দেয়া মোটা কম্বল ব্যবহার করতে চান। সরকারি কম্বল তারা ব্যবহার করতে চান না। সপ্তাহে একদিন স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। এসব দাবিতে শনিবার সকালে ১০-১২ জন জঙ্গি জেল সুপারের কাছে উত্থাপন করে নাস্তা বর্জন করেন। এসব দাবি কারাবিধির পরিপন্থি হওয়ায় মানা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তবে প্রয়োজনমতো সরকারি কম্বল সরবরাহ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। এরপরই পরিস্থিতি শান্ত হয়। শতাব্দী ভবনে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে কথা বললে তারা খাবার খায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়