৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

উদ্বোধনে উৎসবে মুখর গোপালগঞ্জ : মায়ের জমি দেখতে খুলনায় প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : দশমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টা ১১ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের শান্তি কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। এসময় বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সকালে গণভবন থেকে সড়ক পথে পদ্মা সেতু পার হয়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ১০টা ২৫ মিনিটে তিনি কাশিয়ানী উপজেলা পার হন। এরপর টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। এছাড়া খুলনার কর্মসূচি শেষ করে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাসভবনে রাতযাপন করেন।
মায়ের স্মৃতিবিজড়িত জমি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী : খুলনার দিঘলিয়ায় ভৈরব নদের তীরে নগরঘাট এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা চার বিঘা জমি ও পাটগুদাম ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বোন শেখ রেহেনাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিকাল ৪টায় তার মায়ের নামে কেনা জমি ও পাটগুদামে যান। সেখানে তিনি প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন।
দিঘলিয়া থেকে প্রধানমন্ত্রী খুলনা নগরীর শেরে বাংলা সড়কে অবস্থিত ছোট চাচা শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে যান। বঙ্গবন্ধু খুলনায় এসে এ বাড়িতে অবস্থান করতেন। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান আমলে তার স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে খুলনা জেলার ভৈরব নদীর পাড়ে এক একর ৪০ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্পত্তির মালিক হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় এখানে পাটের গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর ছিল, যা তার ছোট ভাই শেখ আবু নাসের দেখাশোনা করতেন। বর্তমানে পুরনো গুদাম ঘর ভেঙে একটি আধুনিক গুদাম ঘর ও একটি গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ সম্পত্তির বিষয়ে অবগত হন।
২৮ প্রকল্পের উদ্বোধন : আজ শনিবার দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দলের নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দুপুর ২টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া এ সফরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মধুমতি নদীতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং র‌্যাম্প, বাঘিয়ার নদীর পাড়ে বোট ল্যান্ডিং র‌্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ও সেতুসহ গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দুই দিনের সফরকে টুঙ্গিপাড়াসহ পুরো জেলায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ সফরকে ঘিরে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়