উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

আইএমএফ প্রধানের সতর্ক বার্তা : বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ দেশই ‘মন্দা’র কবলে পড়বে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার কবলে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে চলতি বছরটি আরো কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের অর্থনীতিতে মন্থর গতির কারণে এমনটা দেখা যাবে বলে ধারণা আইএমএফের। গতকাল সিবিএস নিউজের ফেইস দ্য নেশন প্রোগ্রামে জর্জিয়েভা এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স।
মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, উচ্চ সুদহার ও চীনে কোভিডের বিস্তার বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চাপ প্রয়োগ করছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে সংকোচন এনেছে আইএমএফ। জর্জিভা বলেন, আমরা ধারণা করছি, বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার সম্মুখীন হবে। এমনকি যেসব দেশ মন্দার মুখোমুখি হয়নি, তারাও মন্দার মতো অনুভব করবে।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদহার বাড়ানো ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পূর্বাভাস কমিয়ে আনে আইএমএফ। তিনি জানান, নতুন বছরের শুরুতে অর্থনীতিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে চীন। যদিও দেশটি তার ‘শূন্য কোভিড’ নীতি থেকে সরে এসে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। এদিকে এ নীতি থেকে সরে আসার ফলে দেশটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের মাত্রাও।
ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, সামনের কয়েক মাস চীনের জন্য অর্থনৈতিকভাবে বেশ কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে- যা দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব রাখবে। পাশাপাশি এমন পরিস্থিতি অঞ্চলটির সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও নেতিবাচক ধারা টেনে আনবে।
আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএমএফের সদস্য দেশের সংখ্যা

১৯০। এরা সবাই মিলে বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে। আইএমএফের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে আগেভাগে সতর্ক করা। কয়েকদিন আগে প্রকাশিত তথ্যে তারা ২০২২ সালের শেষে চীনা অর্থনীতির দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করেছিল। ডিসেম্বরের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচকই (পিএমআই) দেখাচ্ছে, চীনের কারখানাগুলোর কর্মকাণ্ড টানা তৃতীয় মাস এবং তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে সংকুচিত হয়েছে। একই মাসে দেশটির ১০০টি শহরে বাড়ির দামও কমেছে। টানা ছয় মাস ধরে এই নি¤œমুখী হার দেখা যাচ্ছে বলে চীনের অন্যতম বড় ও স্বাধীন প্রোপার্টি রিসার্চ ফার্ম চায়না ইনডেক্স একাডেমির জরিপ বলছে। ‘শূন্য কোভিড নীতিতে’ বদল আনার পর জনসমক্ষে প্রথম মন্তব্যে শনিবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীন ‘নতুন পর্যায়ে’ প্রবেশ করেছে জানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে আরো বেশি উদ্যমী ও ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সিডনির মুডি’স অ্যানালিটিক্সের অর্থনীতিবিদ ক্যাটরিনা এল বিবিসিকে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদিও আমাদের বেসলাইন পরের বছর বিশ্বব্যাপী মন্দা এড়াতে পারে, তবে এটির সম্ভাবনা অস্বস্তিকরভাবে বেশি। ইউরোপ মন্দা এড়াতে পারবে না এবং মন্দা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে চলছে।
মিসেস জর্জিয়েভার মন্তব্য বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য উদ্বেগজনক হবে।
ডিসেম্বরের অফিসিয়াল পারচেজিং ম্যানেজারদের সূচক দেখায়, চীনের কারখানার কার্যকলাপ টানা তৃতীয় মাসে এবং প্রায় তিন বছরের মধ্যে দ্রুততম হারে সংকুচিত হয়েছে। কারণ দেশটির কারখানায় করোনভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার অর্থ চীন ও থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলোতে তৈরি পণ্যগুলোর কম চাহিদা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়