বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

আগের সংবাদ

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত : উত্তররাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ > জনজীবন বিপর্যস্ত > বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই

পরের সংবাদ

তিন স্থানে আগুন : ফানুস ওড়ানোয় ছড়িয়েছে আতঙ্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও থামছে না থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস ওড়ানো। ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে ফানুসগুলো ওড়ানো হলেও এটিই কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভয়াবহ সব অগ্নিকাণ্ডের। যাতে পুড়ে ছাই হতে দেখা গেছে অনেকের সারাজীবনের স্বপ্নও। এবারো থার্টি ফার্স্ট নাইটে ওড়ানো ফানুস ছড়িয়েছে আগুন আতঙ্ক। ফানুস থেকে গত শনিবার রাতে রাজধানীর কমপক্ষে তিন স্থানে আগুন লাগার খবরও পাওয়া গেছে। এসব আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে জানানো হয়েছে, নববর্ষের প্রথম প্রহরে আতঙ্কিত মানুষের প্রচুর ফোন তারা পেয়েছেন। পটকার শব্দ থেকে রক্ষার আকুতি জানিয়ে এসব মানুষ ৯৯৯ এ ফোন করেছিলেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান, শনিবার রাত ১২টার পরে একটি ফানুস পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার মৌলভীবাজারে বিদ্যুতের তারের ওপর গিয়ে পড়ে এবং আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে অগ্নিকাণ্ডের অপর ঘটনাটি ঘটেছে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায়। সদরঘাটের হকার্স মার্কেটের ছাদে একটি ফানুস পড়লে আগুন ধরে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। এরশাদ হোসেন আরো বলেন, মিরপুরে ছোট একটি অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। তবে সেটি ফানুস থেকে সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া আদাবরেও বিদ্যুতের তার ফানুস লেগে পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ওড়ানো ফানুস পড়ে সারাদেশে অন্তত ২০০টি স্পটে আগুন লাগে। শুধু রাজধানীতেই প্রায় ১০টি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্য ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগেই ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি ফানুস, পটকা, আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়