ঢাকা মহানগর আ.লীগ : দক্ষিণে সমাবেশ উত্তরে বিক্ষোভ আজ

আগের সংবাদ

১০ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন : ঢাকার গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ঘোষণা > ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণমিছিলের কর্মসূচি

পরের সংবাদ

রাস্তাঘাটে ভুতুুরে চিত্র, রাজধানীতে চাপা আতঙ্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকায় বিএনপির আজকের (শনিবার) গণসমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে জনমনে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। চিরচেনা রূপ হারিয়েছে ঢাকার রাস্তা। অনেক রাস্তায় ঘুটঘুটে পরিস্থিতি দেখা গেছে। পথে পথে পুলিশ-র‌্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। চক্কর দিচ্ছে ডিবির গাড়িও। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। চলছে তল্লাশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পথে পথে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসে কমেছে যাত্রীর সংখ্যা। 
ঢাকার শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, মালিবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর এলাকায় গতকাল শুক্রবার খোঁজ নিয়ে ভুতুড়ে পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। পুরান ঢাকার রাস্তায়ও মানুষের আনাগোনা ছিল কম। বিকালের পর গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আনাগোনা বাড়লেও সাধারণ মানুষের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা গেছে। শনিবার আসলে কী হবে এ নিয়ে চায়ের দোকানগুলো ছিল আলোচনামুখর। এদিকে গতকাল সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে বেশির ভাগ বাস কাউন্টার ফাঁকা দেখা যায়। এমনকি যাত্রী সংকটে বেশ কয়েকটি কাউন্টার বন্ধও ছিল। কর্মীরা হাঁকডাক করলেও প্রত্যাশামাফিক যাত্রী পাচ্ছেন না। কোনো যাত্রী টার্মিনালে প্রবেশ করলে পরিবহন শ্রমিকরা ছুটে যাচ্ছেন তার দিকে। রাজধানী এক্সপ্রেসের কর্মী বিল্লাল হোসেন বলেন, অন্যদিনের তুলনায় শুক্রবার যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল। সকাল থেকে মাত্র দুইটা বাস ছেড়ে গেছে। অথচ এই সময়ে তিন থেকে চারটা বাস ছাড়ে। এদিক থেকে যাচ্ছেও কম, ওদিক থেকে আসছেও কম। চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের কর্মী হাফিজ উদ্দিন বলেন, আতঙ্কের কারণে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। যে কয়টা বাস ছাড়লাম, একটাও পুরো যাত্রী ভরেনি। কয়েকটা সিট ফাঁকা নিয়েই বাস ছাড়ছে।
মাগুরা যাওয়ার টিকেট কেটেছেন রামপুরা নিবাসী সেলিনা বেগম। তিনি বলেন, আমার বাবা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে দেখতে যাচ্ছি। একটা ভয় কাজ করছিল যে, কোনো সমস্যা হয় কিনা, বা গাড়ি পাব কিনা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। পল্টনের একটি ছাপাখানায় কাজ করেন আব্বাস উদ্দীন। যশোরের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য টিকেট কেটে কাউন্টারে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, গ্রামে জমিজমা নিয়ে একটা সমস্যা চলছে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। তবে এখানে এসে বাস পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু যাত্রী কম থাকায় দেরি করে বাস ছাড়ছে। 
একই কথা জানান কাউন্টারসংশ্লিষ্টরাও। কুষ্টিয়াগামী এসবি সুপার ডিলাক্স কাউন্টারের ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন, মূলত আতঙ্কের কারণেই যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমাদের গাড়ির কোনো সংকট নেই। কাউন্টারে এলেই টিকিট পেয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা। মাগুরাগামী পূর্বাশা পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, শুক্রবারে স্বাভাবিকভাবে যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকে। কিন্তু আতঙ্কের জন্য আজ যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। অনেকেই ভাবছেন গাড়ি আছে কিনা বা গাড়ি চলছে কিনা। একই আতঙ্কে অনেকে ঢাকাও আসছেন না। ফলে জেলা থেকে আগত বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই থাকছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়