অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

সমর্থকদের হতাশায় ডোবাল কাতার রাজপরিবার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে সব প্রস্তুতি এখন শেষের দিকে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে বেশকিছু বিষয়ে নিয়ম-কানুন কিছুটা শিথিল করেছিল কাতার। অনুমোদন পেয়েছিল স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রির বিষয়টিও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে বেঁকে বসেছে দেশটির রাজপরিবার। স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি বন্ধের জন্য ফিফাকে চাপ দিচ্ছে দেশটির সরকার প্রধান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) সঙ্গে কয়েক মাস ধরে চলা বিতর্কের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক দেশটি।
ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম এশিয়ার কোনো মুসলিম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। মুসলিম দেশ হওয়ায় দেশটিতে রয়েছে ধর্মীয় নানা বিধিনিষেধ। বিদেশি পর্যটকদের জন্য দেশটিতে লাইসেন্স প্রাপ্ত কিছু রেস্তোরাঁয় অ্যালকোহল সেবনের অনুমতি থাকলেও মুসলিমদের ক্ষেত্রে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। তবে কাতারের ডেলিভারি ও লিগ্যাসি সংক্রান্ত সুপ্রিম কমিটি প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল, স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য আতিথেয়তা ভেন্যুগুলোর বাইরে নির্ধারিত ফ্যান জোনে অ্যালকোহল পাওয়া যাবে। এছাড়া অন্য কোথাও মিলবে না। গত সেপ্টেম্বরে কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা স্টেডিয়াম ও ফ্যান জোনে ফুটবল অনুরাগীদের জন্য অ্যালকোহলসহ বিয়ার পরিবেশনের নীতি চূড়ান্ত করে।
কাতারি রাজপরিবারের এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ফিফা। কারণ স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান বুঁদউইজার এবারের বিশ্বকাপে বেশ বড়সড় স্পন্সর। এখন শেষ মুহূর্তের এই ঘটনায় যদি তারা বিশ্বকাপে অর্থ বিনিয়োগ করতে না চায়, তাহলে বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ফিফাকে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো অবশ্য কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুঁদউইজার কোম্পানিটির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে কাতারি রাজপরিবারের নিষেধাজ্ঞা ঠেলে বিয়ারকে বৈধতা দেয়াটা ফিফার পক্ষেও সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে ১৯৮৬ আসরেও ভেন্যুতে মাদক নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপেও তাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। অতীতে বৈশ্বিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজকরাও এক্ষেত্রে সফল হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে রোমাঞ্চ যেমন আছে, তেমনি বিতর্কও কম নেই। যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পর থেকেই। একে তো বিশ্বকাপের সময় পরিবর্তন করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে করা হয়েছে, তার ওপর অনেকে অভিযোগ তুলছেন, কাতার ঘুস দিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের দৌঁড়ে এগিয়ে যায়। তাছাড়া কাতারের মানবাধিকার আইনগুলো নিয়েও বিতর্ক বহু পুরনো। এছাড়া দেশটির বিশ্বকাপ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক মারা গেছেন। নারীদের অধিকার ও সমকামীদের প্রতি দেশটির মনোভাব নিয়েও সমালোচনা আছে বিস্তর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়