জাহাঙ্গীর কবির নানক : বিএনপির মানবতার শিক্ষা নেয়া দরকার

আগের সংবাদ

এপার ওপার সুড়ঙ্গ সংযোগ : কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ উদ্বোধনের অপেক্ষায়

পরের সংবাদ

যানবাহন সংকটে মানুষের ভোগান্তি : ভবেরচরে থ্রি-হুইলার বন্ধে বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার অংশে থ্রি-হুইলার বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ। এদিকে এই অভিযানের ফলে মহাসড়কের পাশে থাকা স্থানীয় চলাচলকারীদের বেড়েছে সীমাহীন ভোগান্তি। গতকাল বুধবার সকাল থেকে গজারিয়ার অংশে বাউশিয়া পাখির মোড় থেকে জামালদী পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ করে এমন অভিযান পরিচালনা করা হয়। থ্রি হুইলার অটোরিকশা এবং ইজিবাইক তিন চাকার যে কোনো যান মহাসড়কে ওঠলেই নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
এ সময় আইন অমান্য করা যানবাহনগুলো আটক করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুসারে প্রতি গাড়িকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মামলা দেয়া হয়। জানা গেছে, মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তারপরও মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল অব্যাহত থাকায় হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে অভিযানে নামে হাইওয়ে পুলিশ। অভিযানের পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইনে অপরাধ ও শাস্তির পরিমাণ সম্পর্কে অবগত করার জন্য থ্রি হুইলার চালক ও মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। এছাড়া পথসভা, মাইকিং, সেমিনার ও লিফলেট বিতরণ করার মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশের এই বিশেষ অভিযানের ফলে মহাসড়কের পাশে থাকা স্থানীয় চলাচলকারীদেরকে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, অভিযানের কারণে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে মহাসড়ক ঘেঁষা বাসিন্দাদের চলাচলের থ্রি হুইলার ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাদের ভোগান্তির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তারা জানান, ঘর থেকে বের হলেই মহাসড়ক। প্রাত্যহিক কাজ সারতে মহাসড়কে ওঠতেই হয়। অল্প অল্প জায়গা পেরুতে ত আর বাস পাওয়া যাবে না। এখন রিকশা, অটোরিকশাসহ থ্রি হুইলার বন্ধ করে দেয়ায় পায়ে হেঁটে মহাসড়কের উপর দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে। এছাড়া অনেক চালক রয়েছেন যাদেরকে মহাসড়ক অতিক্রম করেই সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে গিয়ে গ্যাস সংগ্রহ করতে হয়। তাদের এখন কি হবে? গ্যাসের অভাবে গাড়ি চালাতে না পারলে সংসার চলবে কীভাবে?
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ইলিয়াস বেপারী বলেন, পেটের দায়ে সিএনজি চালাই। মহাসড়ক দিয়েই আমাদেরকে প্রতিদিন গ্যাস নিতে যেতে হয়। তারপর আবার খেতে হয় মামলা। জাহানার আক্তার নামের এক অটোরিকশা চালকের মা বলেন, আমার বাড়ি মহাসড়ক লাগোয়া আলীপুর গ্রামে। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মহাসড়ক দিয়েই চলতে হয়। আমি হতদরিদ্র মানুষ, দুই দিন আগে পুলিশ আমার ছেলের রিকশাটি ধরে মামলা দেয়। কোনো রকমে টাকা যোগাড় করে মামলা ভাঙিয়ে আনি। আজকে আবারো ধরা পড়ে!’
বিভিন্ন কোম্পানির ভ্যান চালকেরা বলেন, কোম্পানি চিপস, বিস্কুট, ভ্যান গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি দিয়ে নেয়া যায় না। বিভিন্ন জায়গার দোকানে দোকানে কোম্পানির মালামাল ডেলিভারি করতে হয়। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের ভ্যান দিয়ে মহাসড়ক দিয়ে যেতে হয়।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমরা মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন আটকের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আটককৃত থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে ডাম্পিং ও প্রসিকিউশন দাখিল করে জরিমানা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়