মাসুদ বিন মোমেন আরো দুই বছর পররাষ্ট্র সচিব

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতেছে বিশ্ব

পরের সংবাদ

এপার ওপার সুড়ঙ্গ সংযোগ : কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ উদ্বোধনের অপেক্ষায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রীতম দাশ, চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এই টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চল দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পাঞ্চলে রূপ নেবে বলে আশা অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তাদের। এরই মধ্যে নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৯৫ শতাংশ। বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে জানুয়ারির প্রথমদিকে এর উদ্বোধন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তবে টানেলের সংযোগ সড়ক, স্ক্যানিং মেশিনসহ আনুষঙ্গিক বিষয় নতুন করে যুক্ত হওয়ায় নির্মাণ খরচ আরো প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বাড়ছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও টানেলের অপরপ্রান্ত আনোয়ারা অংশে সংযোগ সড়কের সঙ্গে মূল সড়কের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। তাই টানেলের পুরোপুরি সুফল পেতে আরো সময় লাগবে।
সেতু কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছে, টানেলে যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক ও পুরকৌশল কাজ প্রায় শেষের পথে। চলছে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ। টানেলের ভেতরে ফায়ার ফাইটিং, লাইটিং ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার কাজ প্রায় শেষের দিকে। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে প্রকল্পের গাড়ি। নদীর তলদেশে হওয়ায় যে কোনো সময় পানি জমতে পারে আশঙ্কায় টানেলের মধ্যে বসানো হচ্ছে ৫২টি সেচ পাম্প। টানেলের একটি টিউবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যেন বিকল্প পথে গাড়ি চালানো যায়, সেই কাজ চলছে। বাতি ও পাম্প স্থাপন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরির কাজও প্রায় শেষ। নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, ৭৭২ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার। এখন চলছে টানেলের দক্ষিণ প্রান্ত আনোয়ারা অংশে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ডিসেম্বরের মধ্যেই টানেল খুলে দেয়ার জন্য প্রস্তুত করতে সেতু কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দিয়েছেন।
প্রকল্পের পরিচালক হারুন অর রশিদ চৌধুরী ভোরের কাগজকে

জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। তবে টানেল কখন উদ্বোধন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। টানেলের ক্রস প্যাসেজ নির্মাণ এবং টানেলসংশ্লিষ্ট টোল প্লাজার নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ।
তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে প্রায় দুবছর ধরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হয়েছে। এ কারণে সময় বেশি লেগেছে। এরপরও প্রত্যাশিতভাবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। এদিকে টানেলের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে টানেলের দুপ্রান্তের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন। নির্মাণাধীন প্রকল্পে স্ক্যানার স্থাপনের বিষয়টি না থাকলেও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিশ্বের প্রথম।
মাল্টিলেন এই রোড টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা দিচ্ছে চীন সরকার। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ হারে ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণ দিয়েছে। যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেতু ও সড়ক বিভাগ এবং চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। এদিকে টানেলের নিরাপত্তায় নতুন করে স্ক্যানার মেশিন বসানোসহ আরো কিছু নতুন সংযোজনের কারণে ব্যয় বাড়ছে আরো প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
যোগাযোগে ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন : টানেলকে ঘিরে রাজধানীর সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরী এবং পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এরই মধ্যে আনোয়ারা উপজেলা প্রান্তে সংযোগ সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে ছোটবড় অসংখ্য শিল্পকারখানা। পর্যটন, শিল্পায়নসহ অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদী পার হতে সময় লাগবে মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিট। সময় বেঁচে যাওয়ায় অর্থনীতি গতি পাবে।
টানেল নির্মাণের আগে ২০১৩ সালে করা সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, টানেল চালুর পর এর ভেতর দিয়ে বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সেই হিসাবে দিনে চলতে পারবে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি। ২০২৫ সাল নাগাদ টানেল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে, যার মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী যানবাহন। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সাল নাগাদ ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, কর্ণফুলী টানেল শুধু দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে- তেমনটা নয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পকারখানাসহ অর্থনৈতিক বিপ্লব হবে। এছাড়া পর্যটনশিল্পের জন্য বয়ে আনবে নতুন মাত্রা। এই টানেল একদিকে যেমন বাংলাদেশের মর্যাদাকে তুলে ধরবে, পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে। টানেল ঘিরে বৃহত্তর চট্টগ্রাম হবে একটি সমন্বিত বিজনেস হাব। সৃষ্টি হবে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান। বাড়বে বৈদেশিক বাণিজ্য।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল হবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এগিয়ে নেয়ার রোডম্যাপ। টানেলের আশপাশের এলাকায় নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের নতুন শাখা খোলাসহ ব্যাপক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং কক্সবাজারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এই টানেল।
কর্ণফুলীর দুই তীরকে সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেল প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। দুই টিউবসংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। নদীর উভয় পাশের সংযোগ সড়কসহ এই প্রকল্পের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। নদীর নিচে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮০ মিটার ব্যাসের দুটি টিউব। টানেলের প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলে টিউব দুটি থাকলেও সংযোগ পথ ৩টি। এর মধ্যে একটি বিকল্প পথ হিসেবে প্রথম দুটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। দুই সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রথম সংযোগ পথের দৈর্র্ঘ্য ১২ দশমিক ১৪ মিটার। দ্বিতীয় বা মধ্যবর্তী সংযোগ পথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৩৪ মিটার। শেষটির দৈর্র্ঘ্য ১০ দশমিক ৭৪ মিটার। প্রতিটির ব্যাস গড়ে সাড়ে ৪ মিটার। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। নদীর মাঝ পয়েন্টে এই গভীরতা প্রায় ১৫০ ফুট। প্রতিটি পথ ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার। আনোয়ারা প্রান্তে ৭০০ মিটারের একটি উড়াল সড়ক বা ফ্লাইওভারসহ ৫ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার দৈর্র্র্ঘ্যরে চার লেন সড়ক নির্মিত হয়েছে, যা আনোয়ারা চাতরি চৌমুহনীতে এসে চট্টগ্রাম আনোয়ারা বাঁশখালী পিএবি সড়কের সঙ্গে মিলেছে। অপরপ্রান্তে দশমিক ৫৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক মিলেছে নগরীর পতেঙ্গা নেভাল অ্যাকাডেমি পয়েন্ট দিয়ে মূল সড়কের সঙ্গে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও নগরীর পতেঙ্গা প্রান্তে ৩৮৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দেন। এরপর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরপরই শুরু হয়েছিল নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সম্ভাব্য সমীক্ষাসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্প বাস্তবায়ন বা সম্পাদনের সময় ধরা হয় ৫ বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের কাজ উদ্বোধন করেন।
টানেল প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করবে চীনা কোম্পানি। গত ১৮ মে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ কাজের জন্য চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে নিয়োগের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
এক প্রান্তে সড়কের কাজ শেষ হয়নি : ভোরের কাগজের আনোয়ারা প্রতিনিধি সুমন শাহ জানান, কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়কের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে আনোয়ারা ওয়াই জংশন থেকে কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত ৮ দশমিক ১০ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে এবং কালাবিবির দীঘি থেকে আনোয়ারা ফায়ার স্টেশন পর্যন্ত ২ দশমিক ৪ কিলেমিটার সড়ককে ৫ দশমিক ৫ মিটার থেকে ৭ দশমিক ৩ মিটারের উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে।
তবে চাতরী চৌমুহনী, ফাজিল খাঁর হাট, বড় উঠানসহ কয়েকটি পয়েন্টে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্ধারিত সময়ে ছয় লেনের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। এছাড়া ওয়াসা, সিইউএফএল, কর্ণফুলী গ্যাস পাইপলাইনের জন্য কালভার্টগুলো নির্মাণে বেশ বেগ পেতে হয় বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিএ। চাতরি চৌমুহনী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এখনো বিদ্যুতের খুঁটি পুরোপুরি সরানো হয়নি। এজন্য বঙ্গবন্ধু টানেলের সঙ্গে মিল রেখে আগামী ডিসেম্বরে চার লেন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। বাকি দুই লেনের জন্য ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে এবং প্রয়োজনীয় বিবেচনায় পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে আরো ৫টি কালভার্টের অনুমোদন দেয়া হয়। এরই মধ্যে ছয় লেন প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ছয় লেন সড়কের প্রকল্প পরিচালক সুমন সিংহ জানান, ছয় লেনের মূল যে চার লেন সেটা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করব। বাকি দুই লেনের কাজ পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে ১৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৬ লেন সড়কের ৭ কিলোমিটার দৃশ্যমান।
সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপসহকারী প্রকৌশলী (পটিয়া) মো. পারভেজ জানান, কন্ট্র্যাক্ট ডকুমেন্ট মোতাবেক প্রয়োজনীয় গুণগত মান পরীক্ষাপূর্বক প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের ক্রসিং ওয়াই জংশন থেকে কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত ৮ দশমিক ১০ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়ক রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট (কেপিএ)। এখানে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বাইরে নির্মাণ কাজের মান নিয়ে কোনো হেরফের করার সুযোগ নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিএর প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল হান্নান জানান, ক্রসিং থেকে কালাবিবির দীঘি মোড় পর্যন্ত সড়কের ১৬টি কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়