জাহাঙ্গীর কবির নানক : বিএনপির মানবতার শিক্ষা নেয়া দরকার

আগের সংবাদ

এপার ওপার সুড়ঙ্গ সংযোগ : কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ উদ্বোধনের অপেক্ষায়

পরের সংবাদ

গাইবান্ধা-৫ আসন নিয়ে ইসি : উপনির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের শাস্তি হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, আইন ও বিধিতে অনিয়মের শাস্তি যেটা আছে সেটাই হবে। অপরাধের মাত্রা দেখে শাস্তি হবে। কোথাও বিভাগীয় ব্যবস্থা হবে। কোথাও মামলা হবে। ফৌজদারি অপরাধ করলে তো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে মামলা করা হবে। গতকাল বুধবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের অনিয়ম তদন্তের সর্বশেষ প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, গত সোমবার প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। এখনো আমরা দেখিনি। আগেরটা দেখেছি, পড়েছি। মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি পরের তদন্তে তারা বেশকিছু অনিয়ম পেয়েছেন। কোনো কোনো কেন্দ্রের সিসিটিভি ডিসকানেক্ট (সংযোগ বিচ্ছিন্ন) করা হয়েছে, ১৭টি বা এমন সংখ্যা হয়েছে বলে শুনেছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে চান উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা তা অব্যাহত থাকবে। ভোট মনিটরিংয়ের জন্য ৩০০ আসনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে অনিয়মের

তথ্য ও ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানা যাবে উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, অনিয়মে ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, কী হবে তা রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই নেয়া হবে। সবাই তো একই অপরাধে অপরাধী হবেন না। অপরাধের মাত্রা ভিন্ন হবে। সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্তও প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হবে।
দুই তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, (তদন্ত প্রতিবেদনের) প্রথম অংশের জন্য আমরা প্রত্যেকে মতামত দিয়েছি। দ্বিতীয় অংশ দেখে চূড়ান্ত মন্তব্য করা হবে। সবার মন্তব্য সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, (গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে) অনিয়ম তো হয়েছে। এটা তো কেউ অস্বীকার করছেন না। যারা তদন্ত করছেন তারাও অনিয়মের কথা বলেছেন। আমরাও দেখেছি অনিয়ম হয়েছে। অনিয়মের শাস্তি আইন ও বিধিতে যেটা আছে সেটাই হবে। অনিয়মে সর্বোচ্চ শাস্তি থাকে, সর্বনি¤œ শাস্তিও থাকে। অপরাধের মাত্রা দেখে শাস্তি হবে। এসময় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কিনা এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও উল্লেখ করেন আনিছুর রহমান।
জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেকনিক্যালি সম্ভব। হিউম্যানলি সম্ভব কিনা- পরীক্ষা করে দেখছি। ৩/৪ লাখ ক্যামেরা লাগানো কঠিন কিছু নয়। কীভাবে আমরা মনিটর করব সেটার ম্যাকানিজম তো তৈরি করতে হবে। ৪ লাখ সিসিটিভি মনিটর করতে হলে কতটা জায়গা লাগবে। কত লোকবল লাগবে সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার আছে। এটা পরে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়