কাগজ প্রতিবেদক : চলতি বছর দেশে এডিসবাহিত ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০০। পহেলা জানুয়ারি থেকে ১২ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। এর মধ্যে অক্টেবার মাসে ৮৬ জন। আর ১ থেকে ১২ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩০০ কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা আবারো ৯০০ ছাড়িয়েছে।
গতকাল শনিবার সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ২৬৬ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ১ জনের।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ২৬৬ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের। বৃহস্পতিবার রোগী ছিল ৮৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। ডেঙ্গুতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর। মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২ নভেম্বর। ওই দিন ১ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৯১৮ জন রোগীর মধ্যে ৫৩০ জন ঢাকার এবং ৩৮৮ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ১ হাজার ২৫১ জন ভর্তি আছেন। চলতি বছর (১ জানুয়ারি থেকে ১২ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬৭০ জন। এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৯৯ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ হাজার ১৯৬ জন। মাসভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুন মাসে ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, আর মৃত্যু হয় ১ জনের। জুলাই মাসে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৭১ জন আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ জন। আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৫২১ আর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল ৯ হাজার ৯১১ জন, মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। অক্টোবর মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন আর ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরের ১২ তারিখ (সকাল ৮ টা পর্যন্ত) রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৬৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।