কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। চলতি বছরে এ পর্যন্ত (১ জানুয়ারি থেকে ৮ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। সরকারি হিসাবেই ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে চলতি বছর। গতকাল মঙ্গলবার সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২০ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৫ জনের। এর মধ্য দিয়ে এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছে যায় ১৮২ জনে।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের। রবিবার রোগী ছিল ৯০৮ জন, আর মৃত্যু হয় ৩ জনের। শনিবার রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৮৮ জন, আর মৃতের সংখ্যা ৫ জন। ডেঙ্গুতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর, যা ছিল ৯ জন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী ছিল ২ নভেম্বর। ওই দিন ১ হাজার ৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৮২০ জন রোগীর মধ্যে ৪৫০ জন ঢাকার এবং ৩৭০ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২২৩ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৯৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১ হাজার ২৭৬ জন ভর্তি আছেন।
চলতি বছর (১ জানুয়ারি থেকে ৮ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮০২ জন। এই জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৮২ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১ হাজার ৩৯৭ জন। মাস ভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুন মাসে ৭৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, আর মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। জুলাই মাসে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৭১ জন, আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ জন। আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৫২১, আর ১১ জনের মৃত্যু হয়। সেপ্টেম্বরে রোগী ছিল ৯ হাজার ৯১১ জন, মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। অক্টোবর মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৩২ জন, আর ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। ৮ নভেম্বর (সকাল ৮টা পর্যন্ত) রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের।