পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অবশেষে কিছু সুপারিশ দিয়ে শর্ত ছাড়াই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই এ ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে। এর জন্য কোনো সুদ দিতে হবে না। পরবর্তী ছয় কিস্তিতে বাকি অর্থ আসবে। প্রতি কিস্তিতে অর্থের পরিমাণ হবে ৬৬০  মিলিয়ন ডলার। এর জন্য বাংলাদেশকে সুদ দিতে হবে ২ দশমিক দুই শতাংশ হারে। ঋণের অর্থে চলমান বৈশ্বিক সংকটের মুখে থাকা দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যেভাবে চেয়েছিলাম, ঠিক সেভাবেই আইএমএফের ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। ঠিক শর্ত নয়, সংস্থাটি বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছে যেগুলো আমরা নিজেরাই শুরু করছিলাম। পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডে আগামী ১০ বছরের আইএমএফের ঋণ পরিশোধ করবে সরকার।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার বিকালে আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে সংস্থাটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরের সভাকক্ষে প্রেসব্রিফিং করেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এরপরই অর্থসচিবের দপ্তরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দিতে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান রাহুল আনন্দ জানান, বাংলাদেশ আইএমএফের উন্নয়ন অংশীদার। সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়েছে দেশটি। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি কখনো শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হবে না। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়শীল দেশের মর্যাদায় উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে যাচ্ছে আইএমএফ। আইএমএফ প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, আগামী

তিন মাসের মধ্যে ঋণ প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর ঋণের বিষয়ে পর্ষদের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক এবং দীর্ঘদিন আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসা অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ভোরের কাগজকে বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে আইএমএফ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেসব বৈঠকে তারা কিছু শর্তের কথা বলছেন। তবে মনে রাখতে হবে, এসব শর্তের কোনোটাই নতুন নয়। বিভিন্ন সময় তারা এসব পরামর্শ দিয়েছে। এখন যেহেতু মোটা অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে। তাই আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমানোসহ বিভিন্ন পরামর্শ তারা আগে থেকেই দিয়ে আসছে। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এসব পরামর্শ মানা উচিত ছিল।
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের প্রতিনিধি দলটি গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসে। সফরে বাংলাদেশ ব্যাংক, আন্তঃমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন তারা। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৩০টি বৈঠক করেছে। বেশির ভাগ বৈঠক ছিল আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে। আলোচনা শেষে ঋণের বিষয়ে সমঝোতার কথা জানায় আইএমএফ। পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডে আগামী ১০ বছরের আইএমএফের ঋণ পরিশোধ করবে সরকার। অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলে ইতোমধ্যে দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সারের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া সারা বিশ্বে এখন খাদ্যপণ্যের দাম বেশি। এ কারণে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে খাদ্যপণ্যেও ভর্তুকি দিবে সরকার। এ ব্যাপারে আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি। বরং চলমান পরিস্থিতিতে মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে ব্যাপারে জোর দিয়েছে আইএমএফ।
আগামী  ফেব্রুযারিতেই এ ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যবে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, যেসব সুপারিশ তারা দিয়েছে,  সেগুলো সরকার শুরু করেছে। এই সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার আইএমএফ বাংলাদেশকে দেবে  মোট সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি বাংলাদেশ হাতে পাবে ২০২৬ সালে। তিনি বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন। আইএমএফ টিম আমাদের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।
তিন বছর মেয়াদি ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, অর্থনীতির বহির্খাতকে স্থিতিশীল করা, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণকে সামনে রেখে অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দেয়া, আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। 
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রাখা হবে, যা গত প্রায় ১৪ বছর যাবত আমরা করে আসছি। আমাদের সরকারের সব সময় প্রচেষ্টা থাকে বাজেট ঘাটতিকে জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নতুন কয়েকটি আইন প্রণয়ন এবং পুরোনো কয়েকটি আইনের সংশোধনের চলমান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা, রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার জোরদার এবং কর প্রশাসনের দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে। ভ্যাট আদায়ের জন্য এ যাবত ৬ হাজার ৭৩২টি ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী বছরে আরও ৬০ হাজার মেশিন স্থাপন করা হবে এবং পরবর্তী ৪ বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার মেশিন স্থাপিত হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থাটি আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের সঙ্গে সময়ে সময়ে সমন্বয় করা, যাতে সামনে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমলে দেশের অভ্যন্তরেও তা একইভাবে কমানো যায়। টাকার বিনিময়হার নির্ধারণের কাজটি ধীরে ধীরে বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া, যা আমরা ইতোমধ্যে শুরু করেছি। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখে উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হবে। একটি দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়নের পরিকল্পনা করা, যার মধ্যে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার বিষয়টিও থাকবে।
আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দ সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেন, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আদায় বাড়লে বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ সংকট কেটে যাবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে। তবে রপ্তানির প্রধান মার্কেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ। এ কারণে দুই বাজারের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এছাড়া রেমিট্যান্স কমছে এটাও অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা। এ অবস্থায় দক্ষ মানব সম্পদ রপ্তানি এবং রপ্তানি বাজার বহুমুখীকরণ করতে হবে। বিশেষ করে পণ্যের বহুমুখীকরণ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আগ্রহী নয় আইএমএফ। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছে। চলমান বৈশ্বিক সংকট উত্তরণেও জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফ এসব বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে থাকে। মহামারি করোনার সময় সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন ধুকছে তখন এদেশের সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের জীবন রক্ষায় সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনা, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দিয়ে দরিদ্রদের সহায়তা এবং শিক্ষার মতো বিভিন্ন কর্মসূচি চালু রাখায় অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফ এসব বিষয়গুলো মূল্যায়ন করে থাকে।
সংস্থাটির এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশকে ঋণসহায়তা দিতে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা হয়েছে। এতে বর্ধিত ঋণ সুবিধা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সুবিধার (ইএফএফ) আওতায় ৩২০ কোটি ডলার আর রেজিলিয়েন্স সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হবে। ৪২ মাসের মেয়াদে এ ঋণ দেয়া হবে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, মহামারি কাটিয়ে বাংলাদেশ জোর কদমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হয়। এতে একদিকে চলতি হিসাবের ঘাটতি বাড়তে থাকে, অন্যদিকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যায়।
বাংলাদেশ এসব তাৎক্ষণিক সমস্যা বেশ ভালোভাবে সামলে নিলেও দীর্ঘমেয়াদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সমস্যা রয়ে গেছে বলে মনে করে আইএমএফ। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হওয়া। তারা মনে করছে, সফলভাবে এলডিসি উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে অতীতের সফলতার ওপর ভর করে এগোতে হবে। অবকাঠামোগত সমস্যাগুলো আমলে নিতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের পরামর্শ, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোাকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এদিকে, আইএমএফের পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ জোর দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বাড়ানো এবং ভ্যাট আইন ২০১২ বাস্তবায়ন চায় এনবিআর। এছাড়া প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। যেসব খাত নাজুক অবস্থায় থাকবে সেসব খাত লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক মুদ্রানীতি তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় হার আরো নমনীয় করতে হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে আধুনিক মুদ্রানীতি। আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করা, নজরদারি বাড়ানো, সরকার ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সুপারিশ করেছে আইএমএফ। বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পরিবেশে তৈরি, মানব দক্ষতা বাড়ানো, আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তোলা, পরিবেশের উন্নতির পদক্ষেপ নেয়া এবং জলবায়ু সংক্রান্ত খাতে আরো বিনিয়োগ ও আর্থিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, এ মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গ্রস ৩৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে যা থাকে সেটিই হচ্ছে নেট রিজার্ভের পরিমাণ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানান, আইএমএফ বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ গ্রসে নয়, নেটে দেখাতে বলেছে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই।  

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়