শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে নি¤œচাপ : মঙ্গলবার আঘাত হানতে পারে ‘সিত্রাং’

আগের সংবাদ

সিত্রাংয়ের ভয়াবহ ছোবল ১৩ জেলায় : ভোলা ও নড়াইলে ৩ জনের মৃত্যু > তিন বিমানবন্দরে কার্যক্রম বন্ধ > ২৫ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে > তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

সীমান্তে গোলাগুলি : নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘর ছাড়ল ৫৫ পরিবার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে : নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে সেদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী দখল করে নেয়া ১২টি চৌকি পুনঃরুদ্ধারের প্রচণ্ড গোলাগুলি শব্দে এপারের সীমান্তবাসীরা রাতভর আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল রবিবার ভোরবেলা সীমান্তের ওপার থেকে আবারো দফায় দফায় গোলাগুলির শব্দে এপারের সীমান্তবাসীরা আতঙ্কিত হচ্ছেন। এ ঘটনায় সদর ইউনিয়নের ৩০ পরিবার এবং দৌছড়ি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে।
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল আবছার ইমন জানান, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যান্তরে তাদের বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সে দেশের সরকারের সীমান্ত রক্ষিবাহিনীর (বিজিপি) মধ্যকার চৌকি দখল নিয়ে প্রচণ্ড গোলাগুলি শব্দ শুনতে পাই। এ সময় পরক্ষণে বেশ কয়েকটা গুলি আমাদের ভূখণ্ডে এসে পড়লে তখন সীমান্তে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সড়ে আসতে নির্দেশ দেয়া হয়। গভীর রাতেও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। রবিবার সকাল ১১টার দিকেও কয়েকটি গুলি আমাদের ভূখণ্ডে ফের এসেছে বলেও জানান তিনি। তবে কোনো হতাহত হয়নি।
অন্যদিকে দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইমরান জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মিয়ানমার সেনা বাহিনীর সঙ্গে তাদের একটি স্বশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠির মধ্যে গোলাগুলি শুরু হলে বেশ কয়েকটি গুলি আমাদের ভূখণ্ডে এসে পড়ে। তখন তাৎক্ষণিক বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সহযোগিতায় সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সড়ে আসার সাহায্য করেন। তবে রবিবার এখনো কোনো গোলাগুলি শব্দ শুনতে পাওয়া যায়নি। এরপরো শনিবারের ঘটে যাওয়া গোলাগুলির শব্দে এলাকার লোকজনের মাঝে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর এদিকে আমাদের সীমান্তের বিজিবি সর্তক অবস্থায় টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আতঙ্কিত কিছু লোক সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসার খবর পেয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে লোকজনকে শিবিরে নিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন তারা। চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার-দফাদারদের নিবিড়ভাবে এসব দেখার জন্যে বলা হয়েছে। তিনি নিজেও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন রিসিভ হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়