সারাদেশে দিন-রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে

আগের সংবাদ

চাপ কমাবে আইএমএফের ঋণ : সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ, আলোচনার জন্য বুধবার ঢাকায় আসছে প্রতিনিধিদল

পরের সংবাদ

শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে নি¤œচাপ : মঙ্গলবার আঘাত হানতে পারে ‘সিত্রাং’

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত প্রতিনিয়ত শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এর নাম হবে সিত্রাং। বাংলাদেশের খুলনার দক্ষিণে ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতে এটি আছড়ে পড়তে পারে। আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত প্রতিনিয়ত শক্তি বাড়ালেও এখনো ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। তবে চলতি বছরে বর্ষা-পরবর্তী প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া মডেলগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে।
দেশের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর সেই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। পরে তা আরো শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজকের (রবিবার) মধ্যে নি¤œচাপটি গভীর নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে। মঙ্গলবারের মধ্যেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হচ্ছে, আগামী মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলের তিনকোনা কোস্ট (খুলনার দক্ষিণে) এবং স›দ্বীপের মধ্য দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে চলেছে। ২০১৮ সালের পর অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া প্রথম ঘূর্ণিঝড় এটি। থাইল্যান্ড এই ঝড়ের নামকরণ করেছে ‘সিত্রাং’। এর আগে অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়টি ছিল ‘তিতলি’। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের ১৩টি দেশের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা ‘এস্কেপ’ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। নামের ক্রম অনুযায়ী এবার ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিত্রাং।
গতকাল শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নি¤œচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নি¤œচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
বন্দর থেকে দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার যা সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হতে পারে। জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মৎস্যজীবীদের গভীর সাগরে বিচরণ না করে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়