শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে নি¤œচাপ : মঙ্গলবার আঘাত হানতে পারে ‘সিত্রাং’

আগের সংবাদ

সিত্রাংয়ের ভয়াবহ ছোবল ১৩ জেলায় : ভোলা ও নড়াইলে ৩ জনের মৃত্যু > তিন বিমানবন্দরে কার্যক্রম বন্ধ > ২৫ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে > তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

মতবিনিময় সভায় তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী : প্রয়োজনে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কৃষি ও শিল্পের স্বার্থে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ রাখার কথা ভাবছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী গতকাল এমন আভাস দেন। তিনি বলেন, আজ যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে লোডশেডিং বাড়বে, তখন আপনারাই সমালোচনা করবেন। অথচ একসময় সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। সারাদেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে। আমরা এসি বন্ধ রাখব বা কম চালাব। এতে দু-তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে। সবাই মিলে যদি রাজি হই লোড কমাব; তাহলে কিছু গ্যাস রিলিজ হবে। আমরা কৃষি ও ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যুৎ বেশি দেয়ার চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অন্যরা বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করব। প্রয়োজনে দিনের বেলা ব্যবহারই করব না। বিদ্যুৎ যদি আমরা শিল্পে দেই, তাহলে আবাসিকে সাপ্লাই কমাতে হবে। সেটা করলেই আবার মিডিয়ায় অনেকেই অনেক কথা বলবেন। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় তো আমাদের কিছুই ছিল না। তখনো আমরা চলেছি। এখনো পারব। আমরা শপথ নেব, দরকার হলে দিনের বেলা কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।
গতকাল রবিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্পে জ¦ালানি সংকট সমাধান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসাইন প্রমুখ।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কী হবে। এলএনজি এখন আমরা আনছি না। এ সময়ে ২৫ ডলার হিসাব ধরেও যদি এলএনজি আমদানি

করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত ৬ মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কিনা- জানি না। আমাদের এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কবে শেষ হবে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া গেলে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতাম। প্রধানমন্ত্রঅর এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ভোলায় কিছু গ্যাস আছে, সেগুলো সিএনজিতে করে নিয়ে আসব। সেখানে ৮০ এমসিএফ গ্যাস আছে। আমরা দু-তিন মাসে সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করব। অন্যদিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাব। আরো ১ হাজার মেগাওয়াট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদন করব। তখন অনেকটাই সমস্যার সমাধান করতে পারব।
জ¦ালানি উপদেষ্টা বলেন, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী যখন শিল্পকারখানা খুলে দিলেন, তখন অনেক বুদ্ধিজীবী এর বিরোধিতা করেছিলেন। তখন শিল্পকারখানা খুলে দেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। চলমান এই জ¦ালানি সংকটে প্রধানমন্ত্রীকে এখন সেই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়