স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ : মেয়েদের জয়ে কলসিন্দুরে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আজহারুল ইসলাম, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা শেষ হওয়ার পর ধোবাউড়া উপজেলায় যেন হোলিখেলা শুরু হয়েছে। কলসিন্দুর গ্রামে আনন্দের মাত্রাটা আরো এককাঠি বেশি। এমনটাই মনে হয়েছে এই এলাকায় এসে। শুধু এখানেই শেষ নয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দেখে মনে হচ্ছে যেন ফেসবুকটা কিনেই ফেলছে কলসিন্দুরের মেয়েরা! আর তা হবেই না কেন, হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা আজকের এই খেলায় ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের ৬ জন খেলোয়াড় রয়েছে- সানজিদা, মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিম, মারজিয়া আক্তার, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র। এছাড়াও এর আগের খেলায় অংশ নিয়েছে সাজেদা, তহুরাও।
আজ থেকে প্রায় ১১ বছর আগে অপ্রতিরোধ্য এই ফুটবলকন্যাদের শুরুটা ২০১১ সালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে উঠে আসে এই একদল কিশোরী ফুটবলার। যাদের পায়ের জাদুতে ধুঁকতে থাকা নারী ফুটবল ফিরে পায় আলো।
প্রথমে যদিও এলাকার কিছু মানুষ তাদের ভিন্ন চোখে দেখত, এখন আর সে অবস্থা নেই। ভিন্ন চোখে দেখার কিছু যৌক্তিকতাও ছিল তাদের কাছে, কেননা যে মেয়েরা ঘরের কাজ করার কথা তারাই খেলছে ‘ছেলেদের খেলা’ ফুটবল! এই চিন্তা করে অনেক অভিভাবক তো নিজের মেয়েকে খেলতে নিষেধও করে দিয়েছেন।
কিন্তু হাঁটি হাঁটি পা পা করে সফলতা আসছে দেখে সবার মনেই পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সবাই তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের জয় শুধু কলসিন্দুর নয়, উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলে যেন জয়জয়কার বইছে; শুরু হয়েছে হোলিখেলা। গতকালের খেলা সম্পর্কে আব্দুল কদ্দুস নামের একজন বলেন, ‘আজ আমরা অনেক খুশি। আমরার মাইয়ারা বাংলাদেশেরে জিতাইছে। আমি ফুরা (পুরো) খেলা দেখেছি, আমরার শামসুন্নাহার জুনিয়র মাঠে নাইম্মা (নেমে) পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গোল দে। এটি আমার অন্তরডা জুরড়ায়া (জুড়িয়ে) দিসে!’
এ বিষয়ে কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও কলসিন্দুর নারী ফুটবল টিমের টিম ম্যানেজার মালা রাণী সরকার বলেন, আজকের জয়ে আমরা অনেক অনেক আনন্দিত, এই জয় আমাদের মেয়ে এবং ছেলেদের জন্য আগামী দিনে বিশ্ব জয়ের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরা আগামীর জন্য খেলোয়াড় তৈরি করার ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে দুই ফরম্যাটেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। কিছুদিন আগে আমাদের কলসিন্দুর ছোট টিমের মেয়ে এবং ছেলেরা জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা (স্কুল এবং মাদ্রাসা) ২০২২ দুটি ফরম্যাটেই জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়