গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : যথাসময়ে নির্বাচন হবে

পরের সংবাদ

‘ব্যবসায়ীরাও অস্থির’ : বাজারে কারসাজির কথা জানালেন মন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের প্রকৃতি যেমন অস্থির, ব্যবসায়ীরাও তেমন অস্থির। বিভিন্ন অজুহাতে তারা কারসাজি করে চালের দাম ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা খোলাবাজারে চাল বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছি।
সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে গতকাল মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের পরিচালনায় সংলাপে খাদ্যমন্ত্রী দেশে খাদ্যের মজুত, অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দেশে উৎপাদিত চালের দাম বেঁধে দেয়া সম্ভব না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, দাম বেঁধে দেবে সেটা আমদানিনির্ভর চালের জন্য বলেও অভিমত খাদ্যমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নাই। ঘাটতি মেটানোর জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে। চালের কোনো সংকট নেই। গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। এরপরেও অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সামাল দিয়ে চালসহ খাদ্যসামগ্রীর দাম ভোক্তাদের নাগালে রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে আটাও খোলা বাজারে (ওএমএস) বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি এতে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হয় এমন খবর প্রচার না করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী। এমন খবর প্রচার করার অনুরোধ করেন যাতে ভোক্তারা উৎসাহিত হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দামে কারসাজি বন্ধ করতে আমরা এমন একটি ওয়েবসাইট চালু করতে চাচ্ছি, সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার মিলাররা মিলগেইটের চালের দাম ঘোষণা করবেন, একইভাবে পাইকারি বাজারগুলোর ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারের দাম ঘোষণা করবেন। আর খুচরা বাজারে চালের মূল্যও সেখানে থাকবে। এভাবেই চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দেশে মিলারদের সরবরাহ করা চাল খুচরা বাজারে পৌঁছানোর পর দামের পার্থক্য হয়ে যায় ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ চলে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর কারণে বিভিন্ন সুযোগে চালের বাজার অস্থির হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে চালের দাম কেজিতে বড় জোর ৭০ পয়সা থেকে ১ টাকা বাড়তে পারে। কিন্তু বাজারে প্রতি কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা করে বেড়ে গেছে। মিলাররা দাবি করে যে, মিলগেইটে দাম বাড়েনি। দাম বাড়ানোর কথা কেউ স্বীকার করে না। তাহলে দামটা বাড়ায় কে? আসলে বাজার যে রকম অস্থির, ব্যবসায়ীদের মধ্য কিছু লোক আছে যারা অস্থিরতায় থাকেন। তাদের অস্থিরতার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। চাল ছাড়াও গমের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। গম আসছে। জেলা পর্যায়ে ১ অক্টোবরে থেকে প্রতি ডিলারকে ১ টন করে বরাদ্দ দেয়া শুরু করব। এটা প্যাকেটজাত করা যায় কিনা সেটা চিন্তা করছি। এতে দাম একটু বেশি পড়বে, কিন্তু বাজার মূল্যের চেয়ে দাম অর্ধেক হবে। এতে কালোবাজারি বন্ধ হবে বলে আশা করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়