মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

গাজীপুরের পানি বিষাক্ত : শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছে স্থানীয়রা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, ‘পরিবেশের মূল দূষণকারী বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান।
তাদের যে নিদারুণ অবহেলা, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। গাজীপুরের যে পানি, সেটা বিষাক্ত হয়ে গেছে। এই জনপদ একটা বিষাক্ত জনপদে পরিণত হয়ে গেছে। শিল্পায়নের যে প্রাইস বা মূল্য এটা স্থানীয় লোকেরা দিচ্ছে। এক সময় সারা বাংলাদেশই দিবে। বাংলাদেশের আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখান থেকে আসে।’
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় মেঘনা নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ইটিপি (পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া) পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী ব্রিজের লবলং খালে গৃহস্থালি ও বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্যের প্রভাবে পরিবেশ দূষণের চিত্র ঘুরে দেখেন ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে কখনোই বলবো না ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দেয়া হোক। আমরা শুধু এটাই বলবো যে ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জ করে দেন।
আর তা না হলে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করতে বলবো। দোষ হচ্ছে যারা এটা পরিচালনা করে সেই ম্যানেজাররা। তাদের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই আগামী প্রজন্মের কথা মনে রেখে আপনারা দূষণমুক্ত শিল্প গড়ে তুলুন।’
ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের প্রতি আমাদের সতর্কতা, যদি দেখি তারা পরিবেশ আইন ভঙ্গ করছে, তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেব।
এদের সামান্য জরিমানা করে ক্ষতিপূরণ হবে না। আইন খতিয়ে দেখে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে তাদের জেলে নিতে হবে। লবণদহ সাগরকে নদী বানানো হয়েছে, আপনারা সাগরকে বলবেন নদী, এরপর বলবেন খাল, খালকে বলবেন ড্রেন, ড্রেনকে বলবেন কাভার্ড ড্রেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিটু নামে একজন খালে ময়লা ফেলার মাধ্যমে ব্যবসা করছে। আরো একজন আছে। প্রশাসনকে বলবো তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে দুই মাস সময় দিলাম। এরমধ্যে পরিবেশ দূষণকারীরা ঠিক না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক নয়ন মিয়া, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক নয়ন মিয়াসহ কমিশনের এবং স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা, নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়