গাজীপুরে সালনা রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ব্যবসায়ীদের দাবি : দাম বাড়িয়েও পোষাচ্ছে না

পরের সংবাদ

ট্রাসের অভিষেক : নতুন প্রধানমন্ত্রীর সামনে ৭ চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন প্রধান লিজ ট্রাসকে পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে দুই মাসের এক অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের অবসান ঘটল- যা শুরু হয়েছিল একাধিক কেলেঙ্কারির জেরে, যখন বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। গতকাল লিজ ট্রাসের চেয়ে কিছুক্ষণ আগে বালমোরাল প্রাসাদে পৌঁছান জনসন। বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয় রাণী তার পদত্যাগপত্র সাদরে গ্রহণ করেছেন। এরপর লিজ ট্রাসকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রানি। ক্ষমতা হস্তান্তরের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় খুবই সাবধানতার সঙ্গে, যেন কোনো প্রধানমন্ত্রী না থাকার সময়টা বেশিক্ষণ না হয়।
সাধারণত বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ আর নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া কয়েক মিনিটের ব্যাপার। তবে সেক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত দিক থেকে এই আনুষ্ঠানিকতা বাকিংহাম প্যালেসে হওয়ায় সেখানে যেতে সময় লাগে কম। তবে এবার স্কটল্যান্ডে রানির ব্যক্তিগত বাসভবন বালমোরাল প্রাসাদে অনুষ্ঠান হওয়ায় বরিস জনসন এবং লিজ ট্রাস দুজনকেই বেশখানিকটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। তাই জনসনের পদত্যাগ এবং ট্রাসের অভিষেকের মধ্যে সময়টাও একটু বেশি লেগেছে।
লিজ ট্রাস এবং জনসন দুজন আলাদা আলাদাভাবে বালমোরালে যান। সেখানে যাওয়ার আগে জনসন ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে বিদায়ী ভাষণ দেন। এ সময় সেখানে ছিলেন এমপি, সহযোগী এবং তার মিত্ররাও। স্ত্রী ক্যারিও তার সঙ্গে ছিলেন। জনসন তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন করোনা মহামাার মোকাবিলা এবং ব্রেক্সিট চুক্তিসহ তার অর্জনগুলোকে তুলে ধরেন। বাদ যায়নি ইউক্রেন প্রসঙ্গও। তবে যেসব কেলেঙ্কারির জন্য তিনি চাকরি খুইয়েছেন সে সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি।
ইউরোপে যুদ্ধ এবং দেশে গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার পটভূমিতে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার হাতে তুলে নিলেন। জানা গেছে, নতুন প্রশাসনের প্রথম কাজ হবে পাইকারি জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা। এ লক্ষ্যে বাসাবাড়িতে জ্বালানির ব্যয় প্রায় ১৮ মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে। জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে সরকার এর পরিবর্তে ঋণ দেবে।
নতুন প্রধানমন্ত্রীর সামনে ৭ চ্যালেঞ্জ :
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রথম দিন থেকেই যে সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে দেখা দেবে, তার মধ্যে ক্রমবর্ধমান দৈনন্দিন খরচ অন্যতম। খরচ বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ জ্বালানি সংকট, যার পুরোভাগে রয়েছে গ্যাস সংকট। ইউক্রেনে হামলা করার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমগ্র ইউরোপ ও পশ্চিমের দেশগুলো বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ফলে সেখান থেকে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি শীতকালের প্রস্তুতি হিসেবে ইউরোপের অন্য দেশগুলো গ্যাস মজুত করে রাখায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কীভাবে এবং ঠিক কত বিলিয়ন পাউন্ড ভর্তুকি দিয়ে তিনি এ সংকটের সমাধান করবেন।
লিজ ট্রাসের জন্য প্রধান ৭টি চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার (এনএইচএস) কর্মীদের দাবি-দাওয়া পূরণ, ইউক্রেন পরিস্থিতি মোকাবিলা, বিভাজিত কনজারভেটিভ দলকে সংগঠিত করা, উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসন, স্কটল্যান্ডের গণভোট এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণকে শূন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়