যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি

আগের সংবাদ

সংঘর্ষে চার জেলা রণক্ষেত্র : নারায়ণগঞ্জ মানিকগঞ্জ সিরাজগঞ্জ নেত্রকোনায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত দুই শতাধিক

পরের সংবাদ

‘ডিকাব টকে’ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত : মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর সমাধান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, এটা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু- এমন মন্তব্য করে এর দ্রুত সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির এমন অবস্থান স্পষ্ট করেন ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে বল প্রয়োগ নয়, সংলাপ চায় দক্ষিণ কোরিয়া। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এখানে বল প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। আমরা অন্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে আহ্বান করবো সংলাপের মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধানের। বলপ্রয়োগ না করতে।
‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস, সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিনসহ সংগঠনটির সদস্যরা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত কিউন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের ইস্যু নয়। এটা আঞ্চলিক ইস্যু, এটা অন্তর্জাতিক বিষয়। অন্তর্জাতিক মহল বলেছে, দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে। এই সমস্যার সমাধানের সবচাইতে কার্যকর সমাধান হচ্ছে পুনর্বাসন। এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা থাকবে। রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক সংকট এবং মানবাধিকার বিষয়। মানবিকভাবে আমরা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছি।
চার হাজার কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া : বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের কোটা দ্বিগুণ করল দক্ষিণ কোরিয়া। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় চার হাজার কর্মী নিচ্ছে দেশটি। এ সংখ্যা আগের বছরগুলোর চেয়ে দ্বিগুণ। কোরিয়ায় এখন ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছে। এই বছরের কোটা ১৯৪১ জন থেকে বেড়ে ৩৪৪১ হয়েছে। ঢাকায় কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে, তবে বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড ২.৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে, যার মধ্যে কোরিয়ার রপ্তানি ৮০ শতাংশ ও বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমি আজ আপনাদের সঙ্গে বড় উন্নয়নের চারটি ক্ষেত্র শেয়ার করতে চাই। প্রথম বড় অগ্রগতি আমি হাইলাইট করতে চাই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে। কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২১ সালে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার অতিক্রম করেছে। কোরিয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে কোরিয়ার রপ্তানি ১.৬৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি ৫৫২ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে কোরিয়া থেকে বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মীরা ২০৯ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠায়। দেশটি বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের ১২তম উৎস। এ পর্যন্ত কোরিয়া ২৭টি প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার ইডিসিএফ রেয়াতি ঋণ দিয়েছে। নতুন সীমা বৃদ্ধির ফলে কোরিয়া এখন বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করতে পারবে। চতুর্থ খাত হিসেবে রাষ্ট্রদূত সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে উল্লেখ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়