ছাত্র অধিকার পরিষদ : গুমের শিকার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে

আগের সংবাদ

রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট

পরের সংবাদ

তিনজন গ্রেপ্তার : প্রেমে সাড়া না পেয়ে বোনকে অপহরণ

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে সায়ের আলম পাভেল (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা। গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- শেখ আলমগীর (২৩) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার এক তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন গ্রেপ্তারকৃত সায়ের আলম পাভেল। উল্টো ওই তরুণীর পরিবার তাকে অপমান করে। বিষয়টি তাকে প্রতিশোধপরায়ন করে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় নানা প্রলোভন দেখিয়ে লন্ডন প্রবাসী কথিত এক ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ওই তরুণীর বোনের বিয়ের প্রস্তাব দেন পাভেল। এক পর্যায়ে তরুণীর বোনকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করেন তিনি। গতকাল শুক্রবার অপহরণের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, গত ১৪ আগস্ট নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এরপর জাহাঙ্গীর ভিকটিমের বাবার কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, অন্যথায় মেয়েটিকে পতিতালয়ে বিক্রি করার হুমকি দেয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে মেয়েকে চিরতরে গুম করে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানালে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করা হয়। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে মির্জাপুর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ দুইজনকে ও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো বলেন, রং মিস্ত্রি পাভেল প্রত্যাখাত ও অপমানিত হলেও ওই তরুণীর ছোটবোনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে নিজের কথিত লন্ডন প্রবাসী ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল পড়ুয়া ওই কিশোরীকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাভেল। এরপর তাকে ঢাকা থেকে নিয়ে টাঙ্গাইলে জাহাঙ্গীরের বাসায় রাখে। এরপর জাহাঙ্গীর ভিকটিমের বাবাকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। উদ্ধার কিশোরীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিসি বলেন, পাভেল এমনভাবে তাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে, তার ভাইকে বিয়ে করার আশায় ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। আমরা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ওই ভাইকে দেখেছে কিনা। সে বলেছে কখনো দেখেনি, শুধু ছবি দেখেছে। পাভেলের এই ভাইয়ের কথা বলা প্রতারণারই অংশ হতে পারে। তিনি আরো বলেন, বাবা-মায়ের প্রতি আক্রোশ থেকেই ভিকটিমকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমরা ধারণা করছি, তারা নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য, যারা নানা কৌশলে মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে পরবর্তী তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের কর্মকর্তা অজিমুল হক বলেন, প্রায় ২ বছর ধরেই ভিকটিম ও তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পাভেলের। ভিকটিমের বাড়ির সামনে গিয়েও দেখা করে কথা বলত সে। ভিকটিমের ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক বিষয়েও পরবর্তী তদন্তে জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়