কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে তারা নিজেরা কোনো মন্তব্য না করে জনগণের মতামতে এই নির্বাচন বিশ্লেষণ করতে আগ্রহী। গতকাল শনিবার গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ইইউ অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি। একই সঙ্গে একটি স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।
আগামী দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় উল্লেখ করে হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের আঞ্চলিক অস্থিরতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শঙ্কা আছে। অস্থিরতা নিরসনে সার্ক ও বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও এ অঞ্চলে সবার অবস্থান শক্ত করতে ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আইসিজে, আইসিসি যদিও সংকট সমাধানে কাজ করছে, তবুও আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করে যেতে চাই। যদিও ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে শরণার্থীর সংখ্যা পুরো বিশ্বেই বেড়ে যাচ্ছে। এরপরও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিকভাবেই কাজ করে যেতে চাই।
ইইউ অ্যাম্বাসেডর বলেন, আরএমজি সেক্টর বাদেও অন্যান্য ক্ষেত্রেও উন্নয়ন করছে বাংলাদেশ। সেসব দিকেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশসহ ৮টি দেশ জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি পদক্ষেপে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই আগোনো উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিল্লুর রহমান।