গাইবান্ধার নশরৎপুর : আড়াইশ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

আগের সংবাদ

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ : চ্যালেঞ্জের সামনে দেশের অর্থনীতি

পরের সংবাদ

আলোকসজ্জায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য এবং উপেক্ষা করে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে আলোকসজ্জা। রাজধানীর কমলাপুর ফুট ওভারব্রিজ, সবুজবাগ বৌদ্ধমন্দির, রাজারবাগ দরবার শরীফ, মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারের রাজারবাগ প্রান্তে (পুলিশ লাইন্সের বিপরীতে) চলছে আলোকসজ্জা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে এসব স্থানে অনেক ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জারত অবস্থায় দেখা গেছে। এসব আলোকসজ্জা বন্ধ করারও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
গত ঈদে মিলাদুন্নবী থেকে রাজারবাগ দরবার শরীফ ও মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারের রাজারবাগ প্রান্তে আলোকসজ্জা চলছে। দরবার শরীফের পক্ষ থেকে এসব আলোকসজ্জা সারাবছরই থাকে বলে স্থানীয়রা জানান। কিন্তু এবার সরকারি নির্দেশনার পরও আলোকসজ্জা বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেই। ঈদুল আজহা এবং আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীর নতুন নতুন এলাকায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এসব আলোকসজ্জা বন্ধেরও কোনো উদ্যোগ নেই।
বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আলোকসজ্জা পরিহার করার জন্য গত ৭ জুলাই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোনো স্থাপনায় আলোকসজ্জা না করার নির্দেশ দিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠিও দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস ও বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা দেয়া হয় ওই চিঠিতে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা থেকে সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং বিভাগীয় কমিশনারদের এই নির্দেশনার চিঠি দেয়া হয়।
উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস ও বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, প্রধান তথ্য অফিসার, সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছেও নির্দেশনার চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
এমনকি দেশবাসীকে কৃচ্ছ্রতা সাধনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৯ জুন জাতীয় সংসদে প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গায় থেকে যতটুকু সম্ভব কৃচ্ছ্রসাধন করার করার পরামর্শ দেন তিনি। বিদ্যুৎ ও পানি ঢালাওভাবে ব্যবহার না করার ও অপচয় না করারও আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়